গত ২১ মার্চ আবগারি মামলায় ইডি গ্রেপ্তার করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ’র জাতীয় আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করে ইডি।
ওই দিন রাত এগারোটা নাগাদ কেজরিওয়ালকে নিয়ে নিজেদের দপ্তর অভিমুখে রওনা দেয় ইডি।
তেলেঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের কন্যা কে কবিতাকে গ্রেপ্তার করেছে ইডি। মণীশ সিসোদিয়ার মতো আপের প্রথমসারির নেতাও জেলে রয়েছেন।
২০২০’তে নতুন আবগারি নীতি নেয় ‘আপ’ সরকার। ২০২১-এ চালু ওই নীতিতে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে দিল্লিতে মদের দোকান খোলার লাইসেন্স দেওয়া হয়। তার আগে সরকার নিয়ন্ত্রিত দোকান থেকেই কেবল মদ বিক্রি করা যেত। ‘আপ’-র বক্তব্য, স্বচ্ছ নিলাম করে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। নীতি ঘিরে সিবিআই অভিযোগ দায়ের করে দিল্লির উপরাজ্যপালের অভিযোগের ভিত্তিতে। ‘আপ’ সরকারও বাতিল করে দেয় সেই আবগারি নীতি। বেসরকারি পাইকারি বিক্রেতাদের ১২ শতাংশ কমিশন দেওয়া হয়েছিল ওই নীতিতে। তার ৬ শতাংশ, টাকার অঙ্কে ৬০০ কোটি, আম আদমি পার্টিকে ঘুষ দেওয়া হয়। গোয়া এবং পাঞ্জাবের নির্বাচনে ওই টাকা আম আদমি পার্টি খরচ করেছে।
সিবিআই’র অভিযোগ, নিলাম হলেও আসলে রাজনৈতিক স্তরে অর্থের বিনিময়ে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। এই বেনিয়মে সিসোদিয়া জড়িত। ২০২২’এ প্রথম এই অভিযোগ তুলেছিলেন দিল্লির মুখ্যসচিব। দিল্লির উপরাজ্যপাল ভি কে সাক্সেনা ২০২২ সালের ২২ জুলাই সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেন। এরপর তদন্তে নামে সিবিআই। ওই বছরের ২৯ জুলাই আপ সরকার নতুন আবগারি নীতি বাতিলের ঘোষণা করে।
Comments :0