electoral bond Salim

বন্ডের কালো টাকা বাজেয়াপ্ত করতে হবে:সেলিম

জাতীয় রাজ্য

  নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে বিজেপি-তৃণমূলকে আইনি পথে ঘুষ দিয়ে সাধারণ মানুষের ওপরে বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে বড় বড় কোম্পানিগুলো। নির্বাচনী বন্ডের তথ্য প্রকাশ্যে আসতে শুরু করতেই সিপিআই(এম)’র রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ফের এই অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, আমাদের এখানকার সাধারণ মানুষকে বিদ্যুতের জন্য বেশি টাকা দিতে হচ্ছে। চড়া বিদ্যুৎ বিল মেটাতে হচ্ছে। চিকিৎসার জন্য চড়া দাম তো দিতেই হচ্ছে, তার সঙ্গে ওষুধের জন্যও বিপুল টাকা খরচ করতে হচ্ছে। আর বিদ্যুৎ কোম্পানি, ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি ক্ষমতাশালী রাজনৈতিক দলগুলিকে টাকা দিচ্ছে যাতে অবাধে সাধারণ মানুষের পকেট কেটে বিপুল টাকা তোলা যায়? 
তথ্যে দেখা যাচ্ছে বিজেপি দলই নির্বাচনী বন্ডের সবচেয়ে বেশি এবং প্রায় সিংহভাগই পেয়েছে। একটি আঞ্চলিক দল হয়েও তৃণমূল তারপরেই রয়েছে। সিপিআই(এম) নির্বাচনী বন্ডের টাকা তো নেয়ইনি, সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে এর বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচনী বন্ডকে অসাংবিধানিক বলে তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে। মহম্মদ সেলিম এই প্রসঙ্গে আগেই বলেছেন, আগাম ঘুষ দিয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে কর্পোরেট দুর্নীতির গ্রাসে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা নির্বাচনী বন্ড। এটা রাজনীতিতে একটা কালো চ্যানেল। ইতিমধ্যেই ভারতের গণতন্ত্রে কর্পোরেট থাবা নিয়ে অনেক বড় বড় বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা হয়েছে, আগামী দিনে এটা বিশ্ববিদ্যালয়ে চর্চায় অন্তর্ভুক্ত হবে যাতে গণতন্ত্র সুরক্ষিত হয়। কিন্তু আমরা বলছি, এই কালো টাকা বাজেয়াপ্ত করতে হবে। 
নির্বাচনী বন্ডে শাসক দলকে টাকা পাইয়ে দেওয়ার মতো প্রক্রিয়ার বিনিময়ে কীভাবে গণতন্ত্র ধংস হয় তা বোঝাতে সেলিম সাম্প্রতিকতম সন্দেশখালির উদাহরণও দেখিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আইএফবি কোম্পানি জানিয়েছে ব্যবসা চালানোর জন্য ডায়মন্ড হারবারের কয়েকজনকে তারা ৪০ কোটি টাকা দিয়েছে। সোজা কথায় অভিষেকের লোকজনকে তোলা দিয়েছে। কিন্তু কেন দিয়েছে? আইএফবি বিদেশে উন্নত মানের চিংড়ি পাঠায়। চিংড়ি কোথায় পাওয়া যায়? সন্দেশখালি, মিনাখাঁ, ক্যানিং, গোসাবায়। এদের জন্যই মুক্তাঞ্চল বানিয়ে গণতন্ত্র ধংস করা হয়েছে। বিনিময়ে তারা কালীঘাটে টাকা পাঠিয়েছে। একইভাবে বিজেপি সারা দেশের সম্পদ কর্পোরেট হাতে তুলে দিচ্ছে।
 

Comments :0

Login to leave a comment