karnataka CM

কাটেনি জট, কর্নাটকে মুখ্যমন্ত্রী বাছা অধরাই

জাতীয়

karnataka CM


দফায় দফায় আলোচনা চালিয়েও কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রিত্বের জট কাটলো না। দুই দাবিদারের অনড় অবস্থানেই ঝুলে রইল। কংগ্রেস সূত্রে বলা হচ্ছে, বৃহস্পতিবারের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রিত্ব এবং দু-তিন দিনের মধ্যে মন্ত্রীসভা গঠনের প্রক্রিয়াও শেষ হয়ে যাবে। এনিয়ে কোনও ধরনের ‘ভুয়ো খবরে’ কান না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কংগ্রেস নেতারা।
কিন্তু তা সত্ত্বেও সিদ্দারামাইয়া এবং ডিকে শিবকুমারকে ঘিরে বুধবার সারাদিন ধরেই নানা ধরনের জল্পনা চলল। এমনকি সিদ্দারামাইয়াই মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন খবর ছড়িয়ে যাওয়ায় বেঙ্গালুরুতে এদিন তাঁর অনুগামীরা বাজি ফাটিয়ে, মিষ্টি বিলি করে হই চই শুরু করে দেন। একারণেই কোনও রকম গুজবে না মাততে নির্দেশ দেওয়া হয় কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে। বলে দেওয়া হয়, সিদ্ধান্ত নিলেই তা সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হবে সংবাদমাধ্যমকে।


ভোটের ফল প্রকাশের পর চারদিন কেটে গেলেও মুখ্যমন্ত্রিত্বের রহস্য কাটলো না কেন, এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে রাজধানীর রাজনৈতিক মহলে। জানা গিয়েছে, কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের প্রথম পছন্দ সিদ্দারামাইয়া হলেও সেই যুক্তি মানাতে পারা যাচ্ছে না শিবকুমারকে। এদিন শিবকুমারের সঙ্গে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং রাহুল গান্ধী কথা বলেও জট কাটাতে পারেননি। রাহুল গান্ধী পৃথকভাবে এদিন ফের কথা বলেন সিদ্দারামাইয়ার সঙ্গেও। তবে শিবকুমারকে এককভাবে উপ মুখ্যমন্ত্রিত্বের পদ ছাড়াও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে বহাল রেখে দেওয়া এবং তাঁর অনুগত ৬ জনকে মন্ত্রীসভায় ঠাঁই দেওয়ার কথা বলা হয়। এতে রাজি না হলে তাঁকে এও বলা হয় যে, মুখ্যমন্ত্রিত্বের আসন তাঁর এবং সিদ্দারামাইয়ার মধ্যে পাঁচ বছর ভাগাভাগি করে দেওয়া হবে। প্রথম দু’বছর সিদ্দারামাইয়া এবং পরের তিন বছর শিবকুমার। জানা গিয়েছে, দুটি বিকল্পই মেনে নেননি শিবকুমার। এমনকি মুখ্যমন্ত্রিত্ব ভাগাভাগির বিষয়টি সিদ্দারামাইয়াও মানতে চাননি বলে জানা গিয়েছে।


কংগ্রেস নেতৃত্ব অবশ্য সহমতের ভিত্তিতে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রিত্বের বিষয়টির সমাধান চাইছে। কিন্তু শিবকুমার মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবি থেকে সরে আসতে নারাজ। শিবকুমারের দাবি, তাঁর নেতৃত্বেই কর্নাটকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস এবং পাঁচ বছর ক্ষমতায় ফিরেছে। জোট সরকার ভেঙে যাওয়ার সময় বেশ কয়েকজন বিধায়ক দল ছাড়ার পর তিনিই কংগ্রেসকে পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এছাড়া রাজ্যের ভোক্কালিগা সম্প্রদায়ের বিপুল সমর্থন রয়েছে তাঁর সঙ্গে। এই ভোককালিগারা এবার জনতা দল (এস)-কে সমর্থন না করে কংগ্রেসের পাশে দাঁড়িয়েছে বিপুলভাবে। আবার সিদ্দারামাইয়ের সঙ্গে আহিন্দা অর্থাৎ সংখ্যালঘু, অন্যান্য পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায় এবং দলিতদের সমন্বয়কারী মঞ্চের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। এরই সঙ্গে সিদ্দারামাইয়ের সঙ্গে রয়েছে সিংহভাগ বিধায়কের আস্থা।


এদিকে, কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাছতে কংগ্রেস ‘হিমশিম’ খাচ্ছে বলে এদিন খোঁচা দেওয়ার চেষ্টা হয় বিজেপি’র পক্ষ থেকে। তবে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সঙ্গে সঙ্গে এর জবাব দিয়ে বিজেপি নেতৃত্বকে আসাম এবং উত্তর প্রদেশের কথা স্মরণ করতে বলা হয়। আসামে হিমন্তবিশ্ব শর্মা মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন ফল প্রকাশের ৭ দিন পর। আর উত্তর প্রদেশে যোগী আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রী হন ৮ দিন পর।


 

Comments :0

Login to leave a comment