সুইৎজারল্যান্ডের এই মহিলারাই ল৩েছিলেন মামলা।

তাপপ্রবাহে মানবাধিকার লঙ্ঘন, সাড়া জাগানো রায় ইউরোপের আদালতে

আন্তর্জাতিক

পরিবেশ সঙ্কট মোকাবিলায় যথেষ্ট ব্যবস্থা নিচ্ছে না দেশের সরকার। কমছে না জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার। তাপপ্রপবাহে জনজীবনে ক্ষতি মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমান। 
সুইৎজারল্যান্ডের প্রায় ২ হাজার মহিলা এই মর্মে আবেদন জানিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক স্তরের আদালতে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মানবাধিকার সংক্রান্ত আদালতে দায়ের হয় আবেদনে। আদালত উষ্ণায়ন রোধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে সুইৎজারল্যান্ড সরকারকে। তা না হলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে পড়বে সুইৎজারল্যান্ড।
ফ্রান্সে হয়েছে আন্তর্জাতিক আদালতের এই রায়ের শুনানি। আদালতের বাইরে ছিলেন পরিবেশ আন্দোলনের কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। সম্প্রতি নেদারল্যান্ডসে তাঁকে আটক করা হয়েছিল। থুনবার্গ বলেছেন, ‘‘এই শুরু। এবার বিশ্বের বহু আদালতেই মামলা হবে। পরিবেশ সঙ্কটে ব্যবস্থা না নেওয়া মানবাধিকার কেড়ে নেওয়ার সমান, এই মর্মে দায়ের হবে অভিযোগ।’’
পরিবেশ কর্মী এবং আইনবিদদের বড় অংশই এদিনের রায়কে ঐতিহাসিক বলছেন। আবেদনকারী সুইৎজারল্যান্ডের মহিলাদের বেশিভাগেরই বয়স সত্তরের বেশি। তাঁরা আদালতে বলেছেন, জলবায়ু সঙ্কটের মোকাবিলা হচ্ছে না বলেই তাপপ্রবাহ বাড়ছে। কমিয়ে দিচ্ছে জীবনযাপনের মান। মৃত্যুর আশঙ্কা বাড়িয়ে দিচ্ছে।
আদালত বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘পৃথিবীর উত্তাপ রোধে প্রয়োজনীয় আইনে একাধিক সূক্ষ্ম ফাঁক রেখে দিয়েছে সুইৎজারল্যান্ড। বিশ্ব উষ্ণায়ন রোধে জাতীয় লক্ষ্যমাত্রাতেও পৌঁছায়নি। আবেদনকারীরা তাঁদের জীবন এবং স্বাস্থ্যের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাঁদের মানবাধিকার খর্ব করা হচ্ছে।’’ 
আন্তর্জাতিক আদালত এই প্রথম গুরুতর পরিবেশ সংক্রান্ত মামলায় রায় দিল। ফ্রান্সের স্ট্রসবুর্গে মানবাধিকার আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন জানানো যাবে না। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বোঝাপড়া অনুযায়ী এই রায় মানতে বাধ্য সুইৎজারল্যান্ড। প্রশ্ন উঠেছে এর পর কী হবে।
আন্তর্জাতিক স্তরে রাষ্ট্রসঙ্ঘের আহ্বানে পরিবেশ সম্মেলন হয় প্রতি বছরই। ঠিক হয় লক্ষ্যমাত্রাও। দেখা যায়, বিশ্বের ধনী দেশগুলিই বিশ্ব উষ্ণায়নে দায়ী গ্যাস নির্গমনে সবচেয়ে বেশি দায়ী। সেই ফাঁক বাড়তেই থাকে। মানবিধারের সঙ্গে পরিবেশের প্রশ্ন এই রায়ে যুক্ত হওয়ায় এমন মামলা বাড়বে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের।

Comments :0

Login to leave a comment