সকাল থেকে তৃণমূলী সন্ত্রাস রুখেই ভোট দিল মালদা। বিকেল ১টা অবধি জেলায় ভোটদানের মোট হার ৩৫ শতাংশ।
সকাল থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর মিলেছে মালদা থেকে। ভোট শুরু হতেই শাসকদলের বিরুদ্ধে ব্যালট বাক্স লুটের অভিযোগ উঠল কালিয়াচকে৷ প্রতিবাদে কালিয়াচক-মোথাবাড়ি রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন বাম-কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা৷ দীর্ঘক্ষণ অবরোধ চলে। সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দের অভিযোগ, ব্যালট বাক্স লুটের ঘটনাটি কালিয়াচক ১ নম্বর ব্লকের সিলামপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহালদার পাড়ার ৩ নম্বর বুথের ৷ অভিযোগ, ভোট শুরুর পরেই বাবুলাল মহালদার নামে তৃণমূলের স্থানীয় এক নেতা দলবল এনে ওই বুথের প্রতিটি ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে নিয়ে যায়৷ এই ঘটনার কথা চাউর হতেই কংগ্রেস ও বামেদের কর্মী-সমর্থকরা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে৷
এর পাশাপাশি হরিশচন্দ্রপুর-২ ব্লকের সুলতাননগর অঞ্চলের ৩৯/৪০ নম্বর বুথে ছাপ্পা ভোট দিতে ঢোকে তৃণমূল আশ্রিত বহিরাগত দুষ্কৃতিরা। এলাকার মানুষ তাঁদের ঘিরে ধরে ভোট লুটের ছক বানচাল করেন।
চাঁচলের কনুয়া দাস পাড়ায় ভোট শুরু হওয়ার আগেই বোমা ছোঁড়ে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা। পরবর্তীকালে পুলিশ এসে বোমা উদ্ধার করে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ভোটে পরাজয় হবে বুঝতে পেরে তৃণমূল এলাকায় বোমা ছড়িয়ে রেখে যায়।
গাজোল এক পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত ১২২ নম্বর বুথ থেকেও দুষ্কৃতি দৌরাত্বের খবর মিলেছে। দুষ্কৃতীদের ভয়ে পালিয়ে যান ভোট কর্মীরা । তারফলে ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেও ভোট অনেক দেরিতে শুরু হয়। গাজোল-১ অঞ্চলের ১২২ নম্বর বুথেও একই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ।
কালিয়াচকের নওদায় এক কংগ্রেস কর্মীকে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আহত কংগ্রেস কর্মীর নাম রাহুল শেখ। বাম-কংগ্রেস কর্মীদের অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূলী দুষ্কৃতি বকুল শেখের ভাইরা গুলি চালায়। কালিয়াচকের ৭৮ নম্বর বুথে এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোল উদ্ধার হয়েছে।
এর পাশাপাশি জেলার বহু জায়গা থেকেই সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে ভোট পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। কালিয়াচক-৩ নম্বর ব্লকের গোলাপগঞ্জ অঞ্চলের ৬৩ নম্বর বুথ, ওল্ড মালদা ব্লকের ১৮২ নম্বর বুথে সিভিক ভলান্টিয়ারদের দেখা মিলেছে।
Comments :0