sfi

স্বদেশ বাঁচাতে, শিক্ষা বাঁচাতে ৬ মার্চ ছাত্র সমাবেশের ডাক চার বাম ছাত্র সংগঠনের

রাজ্য

‘স্বদেশ গড়তে এক আওয়াজ, চাই সবার শিক্ষা, সবার কাজ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে আগামী ৬ মার্চ কলেজ স্ট্রিটে ছাত্র সমাবেশের ডাক দিল এসএফআই সহ চারটি বাম ছাত্র সংগঠন।

শুক্রবার এসএফআইয়ের রাজ্য দপ্তর দীনেশ মজুমদার ভবনে চার বাম ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়েছে যে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের শিক্ষা ব্যবস্থাকে শেষ করে দেওয়ার যেই চক্রান্ত তার বিরুদ্ধে তাদের এই সমাবেশ।

চার বাম ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে এসএফআই রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে বলেন, ‘‘চন্ডীপাঠ, গীতা পাঠের থেকে সহজপাঠ সব থেকে বেশি দরকার। ধর্মের নাম করে ক্লাসরুমের বন্ধুত্বকে যারা নষ্ট করছে তার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে বিকল্গের সন্ধান দিতে ৬ মার্চের সমাবেশ।’’ তিনি জানিয়েছেন এসএফআই, এআইএসএফ, পিএসইউ এবং এআইএসবি’র ডাকা এই সমাবেশে তৃণমূল বিজেপি বিরোধী ধর্মনিরপেক্ষ, গনতান্ত্রিক এবং প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন গুলোকে আহ্বান জানানো হবে আসার জন্য। 

এসএফআই রাজ্য সম্পাদক বলেন, ‘‘রাজ্যের সরকার এবং কেন্দ্রের সরকার দুজনেই শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যায় বরাদ্দ কমিয়েছে। আদানি আমবানিদের হাতে শিক্ষা ব্যবস্থাটাকে তুলে দিতে চাইছে বিজেপি আরএসএস। আর আমাদের রাজ্যের নাগপুরের ফর্মুলা মেনে মমতা ব্যানার্জির সরকার পিপিপি মডেল চালু করেছে।’’ ছাত্র নেতৃত্বের অভিযোগ সরকারি স্কুলের দুটো চারটে করে ক্লাস রুম বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। যার ফলে গোটা সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থাকে শেষ করে দেওয়া হচ্ছে এই রাজ্যে। 

শুক্রবার উচ্চ – মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পরীক্ষার আগের দিন এবং পরীক্ষার দিন বাংলার দুটো প্রশ্নপত্রের সেট ফাঁস হয়। সেই ঘটনা টেনে রাজ্য সরকারকে কড়া আক্রমণ করেন দেবাঞ্জন। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যে একটা লিকেজের সরকার চলছে। পরীক্ষার আগে দিন পরীক্ষার দিন প্রশ্ন লিক হচ্ছে। তৃতীয় সেটে পরীক্ষা দিতে হচ্ছে উচ্চ – মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের। প্রশাসনের নীতিতে লিক তাই প্রশ্ন পত্র ফাঁস হচ্ছে।’’

চলতি বছর প্রায় ৬৩ হাজার উচ্চ – মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। এই প্রসঙ্গে এসএফআই রাজ্য সম্পাদক বলেন, ‘‘পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৬৩ হাজার কমেছে। এই নিয়ে সরকার, উচ্চ – মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ কোন কথা বলছে না। এই ঘটনা থেকে স্পষ্ট যে ড্রপ আউট হয়েছে। এসএফআই দাবি করেছিল ড্রপ আউট হওয়া পড়ুয়াদের জন্য স্পেশাল স্টিমিউলাস প্যাকেজ করার, সরকার তা মানেনি। যার ফল এখন দেখা যাচ্ছে।’’

উচ্চ – মাধ্যমিক শুরু হলেও সন্দেশখালি বিভিন্ন জায়গায় জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। ছাত্র নেতৃত্বের কথায়, বিজেপি আরএসএসের মতো পুলিশ রাষ্ট্র তৈরি করতে চাইছে মমতা ব্যানার্জি। তাদের অভিযোগ ইন্টারনেট বন্ধ, রাস্তা বন্ধ যার ফলে পরীক্ষার সময় সন্দেশখালির ছাত্র ছাত্রীদের চরম সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। তাদের যাতে কোন সমস্যা না হয় তার জন্য কোন বিশেষ ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে।    

Comments :0

Login to leave a comment