এদিন ঠিক কী জানিয়েছেন ইডির আইনজীবী? বুধবার কলকাতার ব্যাঙ্কশাল আদালতে মানিক ভট্টাচার্যের জামিনের বিরোধীতা করে ইডির আইনজীবী সবিস্তারে দুর্নীতির খতিয়ান তুলে ধরেন। ইডি’র আইনজীবীর দাবি, টাকা দিয়ে চাকরি কিনতে ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীরা তাঁদের ওএমআর শিটে সংকেত লিখে আসতেন। ওএমআর শিট মূল্যায়নের সময় সেই সংকেত মিলিয়ে দেখেই অকৃতকার্য পড়ুয়াদের চাকরি দেওয়া হত।
ঠিক কী ভাবে কাজ করত এই পদ্ধতি? ইডি’র দাবি, গোটা ওএমআর শিট ফাঁকা রাখলেও নির্দিষ্ট দুটি প্রশ্নের উত্তরস্থানে পেন দিয়ে গোল করতেন টাকা দিয়ে চাকরি কিনতে ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীরা। কুন্তল সহ দুর্নীতির মাঝের স্তরের কুশীলবদের মাধ্যমে এই তথ্য পরীক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হত। পরবর্তী কালে সংকেত মিলিয়ে টাকার বদলে চাকরির ব্যবস্থা করা হত।
ইডির তরফে আরও বলা হয়েছে, মানিক ভট্টাচার্যের বাড়িতে একটি সিডি পাওয়া গিয়েছে। সেই সিডিতে ৪ হাজার জনের নাম রয়েছে। তারমধ্যে আড়াই হাজারের কিছু বেশি পরীক্ষার্থী ২০১২ এবং ২০১৪ সালে নিয়োগপত্র পেয়েছেন। এই গোটা প্রক্রিয়ার নিয়ন্ত্রক ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। মোট টাকার একটা বড় অংশ তিনি নিজের কাছে রাখতেন। বাকিটা চালান হত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাটে বাজেয়াপ্ত হওয়া ৫০ কোটি টাকার মধ্যেও এই টাকার ভাগ রয়েছে।
এদিন দুপক্ষের সওয়াল জবাব শেষে মানিক ভট্টাচার্যের জামিন খারিজ করেন ব্যাঙ্কশাল আদালতের বিচারক। ১৪ মার্চ ফের তাঁকে আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
অপরদিকে এদিন সাংবাদিক সম্মেলন থেকে পার্টির রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘ এইসব দুর্নীতির আখ্যান আমরা বারবার শুনে যাচ্ছি। যাঁরা দোষ করেছে, তাঁদের মাথাকে খুঁজে বের করা তদন্তকারী সংস্থার কাজ। মমতা ব্যানার্জি, মুকুল রায় এবং অভিষেক ব্যানার্জি এই দুর্নীতির প্রধান পান্ডা। মানিক ভট্টাচার্যরা নাটবল্টু মাত্র। ইডি, সিবিআই, পুলিশ যদি আসল মাথাদের না ধরে, তাহলে সাধারণ মানুষ তাঁদের ধরার দায়িত্ব নিতে বাধ্য হবে।’’
Comments :0