সারা দেশে জাতি বৈষম্যের জন্য কতজন আদিবাসী এবং তফশিলি পড়ুয়া আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন? মঙ্গলবার বিরোধীদের তরফে কেন্দ্রের কাছে এই প্রশ্ন রাখা হয়। সেই তথ্য না দিলেও নারায়ণস্বামী স্বীকার করেছেন, মাত্র ৩ বছরে বিপুল সংখ্যক পড়ুয়া নিজেদের জীবন শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
কেন্দ্রের তরফে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো’র তথ্য দিয়ে আত্মহত্যার পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে। যদিও দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, কতজন আদিবাসী এবং তপশিলী অংশের পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছেন, সেই তথ্য সরকারের কাছে নেই।
এনসিআরবি’র তথ্য বলছে, প্রতি বছর দেশে পড়ুয়া আত্মহত্যার সংখ্যা বেড়ে চলেছে। কেন্দ্রীয় এই সংস্থা বলছে, ২০১৯ সালে ১০,৩৩৫জন পড়ুয়া আত্মহত্যা করেন। ২০২০ সালে সেটি বেড়ে দাঁড়ায় ১২,৫২৬-এ। সেই সংখ্যা ২০২১ সালে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৩,০৮৯।
কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, আদিবাসী এবং তফশিলি পড়ুয়াদের যাতে জাতিগত বিদ্বেষ এবং বৈষম্যের শিকার হতে না হয়, তারজন্য উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে কাউন্সেলিং সেল, সমান সুযোগের ব্যবস্থা করার বিভাগ, গ্রিভান্স কমিটি গঠনের মত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্র বলছে এসসি এবং এসটি অংশের পড়ুয়াদের সামাজিক ন্যায় সুনিশ্চিত করতে সমস্ত ক্যাম্পাসে নাগরিক অধিকার সুরক্ষা আইন (১৯৫৫) এবং তফশিলি জাতি ও আদিবাসীদের উপর অত্যাচার প্রতিরোধী আইন (১৯৮৯) কঠোর ভাবে প্রয়োগ হচ্ছে।
যদিও ভুক্তভুগী অংশের দাবি, আইন থাকলেও প্রতিদিন বৈষম্যের শিকার হতে হচ্ছে আর্থ-সামাজিক ভাবে পিছিয়ে থাকা অংশের পড়ুয়াদের। প্রতিদিন তাঁদের শুনতে হয়, তাঁরা মেধাহীন। স্রেফ সংরক্ষণের সুযোগ নিয়ে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে প্রবেশ করেছেন তাঁরা। আইআইটি’র মত দেশের প্রথম সারির একাধিক প্রতিষ্ঠানে এসসি এবং এসটি পড়ুয়াদের জন্য পৃথক বাসনের ব্যবস্থা করার অভিযোগও সামনে এসেছে সাম্প্রতিক সময়ে।
এই অংশ মনে করাচ্ছে হায়দরাবাদ কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রোহিত ভেমুলার কথা। প্রসঙ্গত, প্রাতিষ্ঠানিক জাতি বিদ্বেষের শিকার হয়ে ২০১৬ সালে আত্মহত্যা করেন মেধাবী দলিত পড়ুয়া রোহিত ভেমুলা।
Comments :0