Gardenrich

গার্ডেনরিচে মেয়র, বেহালায় চলছে পুকুর ভরাটের কাজ

রাজ্য কলকাতা

বেহালায় বনমালি নস্কর রোডে পুকুর ভরাট। ছবি: মনোজ আচার্য

দুর্ঘটনার চারদিনের মাথায় ফের গার্ডেনরিচে ভেঙে পড়া বহুতলের এলাকায় গেলেন কলকাতা পৌরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কেবল ভেঙে পড়া বাড়িই নয়, এলাকায় একাধিক বহুতল ঘিরেই প্রশ্ন রয়েছে। মাত্র পাঁচ ফুট চওড়া একটি পাঁচতলা বাড়ি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। তাঁকে বৃহস্পতিবার প্রশ্ন করা হয়, এমন বহুতল কিভাবে হচ্ছে। মেয়র বলেন, ‘‘আমি কি করে জানব। এখন উদ্ধারের কাজ দেখতে এসেছি।’’

এর মধ্যেই বেহালায় বনমালি নস্কর রোডে পুকুর ভরাটের প্রতিবাদ জানান স্থানীয়রা। ঘটনায় বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে সিপিআই(এম)। অভিযোগ, কলকাতার ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের মদতেই চলছে পুকুর ভরাটের কাজ। এভাবেই পুকুর ভরাট করে বিপজ্জনক বহুতল তোলা হচ্ছে।

গার্ডেনরিচের ঘটনার পর এলাকার একাধিক বেআইনি নির্মানের ছবি, ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তার মধ্যে দেখা যাচ্ছে পাঁচ ফুট চওড়া একটা বাড়ি পাঁচ তলা উঁচু। আবার নিয়ম অনুযায়ী দুটি বাড়ির মধ্যে যখন অন্তত পক্ষে চার ফুট দুরত্ব হওয়া উচিত সেখানে গার্ডেন রিচে একটা বাড়ির সাথে একটা বাড়ির দুরত্ব এক আঙুলও নয়। একটার ওপর হেলে আছে আর একটা বাড়ি। 

প্রশ্ন উঠেছে এলাকার বিধায়ক, কলকাতা পৌরসভার মেয়র কেন জানেন না তাঁর এলাকায় দিনের পর দিন একের পর এক বেআইনি নির্মান হয়েছে!

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ফের শুরু হয়েছে ধ্বংস স্তূপ সরিয়ে উদ্ধারের কাজ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন এখনও পর্যন্ত এলাকার একজন বাসিন্দা নিখোঁজ। তাঁদের অনুমান ধ্বংসস্তূপের তলায় রয়েছে দেহ। আরও দু’জন শ্রমিকের দেহ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা যাতে কোন ভাবে এলাকায় ঢুকতে না পারে তার জন্য গলির মুখে ব্যারিকেড করে পুলিশ প্রহরা বসানো হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ছাড়া কাউকে ভিতরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা ভিডিও বা ছবি তুলতে গেলে পুলিশের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার।

অন্যদিকে, বেহালায় বেআইনি ভাবে পুকুর ভরাট করার বিরুদ্ধে জমায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছে সিপিআই(এম) বেহালা ১ এরিয়া কমিটির পক্ষ থেকে।  

Comments :0

Login to leave a comment