শীত পড়তেই শিলিগুড়ির অদূরে ফুলবাড়ি ব্যারেজ এলাকায় আস্তানা গেড়েছে পরিযায়ী পাখিদের দল। সারা বছর পাখিদের দেখা মিললেও শীতে এখানে বিভিন্ন প্রজাতির পাখিরা আস্তানা গাড়ে। হরেক পাখিদের মেলায় শিলিগুড়ির অদূরে ফুলবাড়ি বাইপাস অত্যন্ত আকর্ষনীয় হয়ে ওঠে। সূদুর সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া, তিব্বত থেকে উড়ে এসে ফুলবাড়ি ব্যারেজ জলাশয় এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছে পাখিদের দল। শীতের মরশুম শেষ হতেই অন্যত্র পাড়ি দেবে। প্রতিবছরই কম বেশী শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফুলবাড়ি ব্যরেজ সংলগ্ন জলাশয়ে পরিযায়ী পাখিদের আগমন ঘটে। দূরদেশ থেকে হাজার হাজার কিলোমিটার পথে উড়ে এসে বেশ কয়েক মাসের জন্য এই জলাশয় ও সংলগ্ন এলাকায় আস্তানা গড়ে তোলে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, উত্তরপ্রদেশে, রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশের বিভিন্ন জলাভূমি বিশেষ করে চর, জলাভূমি, মাঠ, লেক, জাতীয় উদ্যান এই সমস্ত জায়গায় রঙিন পরিয়ায়ী পাখিদের দেখা মেলে। চখা, রুডি সেল ডাক, নর্দান পিনটেল, নর্দান শোভেলার, কমন টিল, ইউরেশিয়ান ওয়াইজিয়ন, মেলার্ড, গ্যাডওয়াল সহ বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখিরা নির্দিষ্ট সময় ও দিন মেপেই ফুলবাড়ি ব্যারেজ জলাশয় সহ উত্তরের জঙ্গল ও জলাশয়ে আনাগোনা শুরু করেছে। আর পরিযায়ী পাখীদের দেখার জন্যই ইতোমধ্যেই অসংখ্য মানুষ ভিড় জমাতে শুরু করেছন। শুধু পাখী দেখা নয়, শহর ছাড়িয়ে একটু নির্জনতায় সময় কাটাতে শীতের শুরুতে শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফুলবাড়ি ব্যারেজ জলাশয় এলাকা এখন খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ভিড় জমছে পাখিগুলিকে কাছ থেকে দেখার জন্য। কেউ ফোনে ছবি তুলে রাখছেন। প্রায় প্রতি বছর শীত পড়তে না পড়তে ফুলবাড়ি ব্যারেজে শুরু হয় পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনা। হাজার হাজার পাখি একসঙ্গে দলবেঁধে উড়ে বেড়াতে থাকে ব্যারেজের চারদিক। সেই মনোরম দৃশ্যগুলি মুঠোফোনে বন্দী করে রাখেন কেউ কেউ। পাখিদের কলকাকলি পরিবেশকে আরও মোহময়ী করে তুলো এলাকার পরিবেশকে। চোরাশিকারিরা যাতে পাখিদের শিকার করতে না চলে নজরদারিও।
স্থানীয়দের বক্তব্য শীত শুরুতেই পরিযায়ী পাখিদের দেখতে পর্যটকদের ভিড় বাড়ে। আমরাও এই সময়ের অপেক্ষায় থাকি। পরিযায়ী পাখিরা এলে পরিবেশটা মনোরম হয়ে ওঠে খুব আনন্দ লাগে। কিন্তু যখন পাখিগুলি ফিরে যায় তখম খুব খারাপ লাগে। কারণ পাখিদের কলরব না শুনলে মন ভালো লাগে না।
Migratory Birds
শীত পড়তেই ফুলবাড়ি ব্যারেজে হাজির পরিযায়ী পাখিরা
×
Comments :0