চুঁচুড়ার সভায় দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘বাড়ি বাড়ি যান গিয়ে বলবেন নরেন্দ্র মোদী আপনাদের জয় শ্রীরাম বলেছেন।’’ তিনি বললেন না বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলতে তার সরকার কি কাজ করেছে। মোদী বললেন বাড়ি বাড়ি গিয়ে জয় শ্রীরাম বলতে!
বামপন্থীরা বার বার দাবি করে এসেছে তারা কোন ব্যাক্তির ধর্মাচারনে বিরোধীতা নন, কিন্তু ধর্মকে হাতিয়ার করে বিজেপি এবং আরএসএসের যেই রাজনীতি তার বিরুদ্ধে তাদের লড়াই।
রাজ্যে একের পর এক যেই দুর্নীতি সামনে এসেছে তার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থা গুলো যেই তদন্ত চালাচ্ছে সেই নিয়ে কোন কথা শোনা যায়নি তার মুখে। ২৭ মিনিটের বক্তৃতায় গোটাটা জুড়ে ছিল সাম্প্রদায়িক উস্কানি। দুর্নীতি গ্রস্থদের শাস্তি, দেশের বেকারত্ব নিয়ে কথা শোনা যায়নি প্রধানমন্ত্রীর মুখে।
প্রধানমন্ত্রী শুধু বললেন, কোন দুর্নীতিগ্রস্থদের ছাড়া হবে না। নরেন্দ্র মোদী যাদের দুর্নীতিগ্রস্থ বলছেন তারা কখনও বিজেপি আবার কখনও তৃণমূলে। শুভেন্দু অধিকারি, যাকে নারদায় টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল সে এখন বিজেপির রাজ্যের শীর্ষ নেতা।
ভাটপাড়ার সভা থেকে পাঁচ মোদী গ্যারিন্টে ছিল কিন্তু কোনটাতে মানুষের কথা নেই। মানুষের সমস্যা সমাধানের কতা নেই। শুধুই ছিল রাম মন্দির, সিএএ এবং ধর্মের ভিত্তিতে মানুষে ভাগ করার চক্রান্ত।
রাজনৈতিক মহলের মতে তিন দফা ভোটের হাওয়া দেখে বিজেপি অনুমান করতে পেরেছে তাদের পালে হাওয়া নেই। রাম মন্দিরকে সমানে রেখেও ভোট বাক্সে কোন প্রভাব তারা ফেলতে পারেনি। তাই এবার সরাসরি উগ্র-সাম্প্রদায়িক প্রচার শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন চারটি সভা করার কথা নরেন্দ্র মোদীর। ভাটপাড়ার পর চুঁচুড়ায় হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে সভায় তিনি বলেন, ‘‘মোদী গরীবদের বিনামুল্যে রেশন দিচ্ছে, মহিলাদের সিলিন্ডার দিচ্ছে, প্রশুতি মহিলাদের সাহায্য, মোদী এবার গ্যারেন্টি নিয়ে এসেছে।’’
প্রধানমন্ত্রী যখন এই কথা বলছেন তখন রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিপোর্ট বলছে দেশের ২৩ কোটি মানুষের একটানা তীব্র খাদ্যাভাব চলছে। গত বছরই কেন্দ্রীয় সরকার খাদ্যে ভরতুকি ৯০ হাজার কোটি টাকা হ্রাস করেছে।
Comments :0