প্রিতম ঘোষ
অনলাইন গেমের পিছনে ছুটছে টাকা। কিন্তু অনেকের পকেট থেকে খরচ হয়েই চলেছে। উদ্বেগের বড় কারণ, এই খেলোয়াড়রা বেশিরভাগই কমবয়সী। গেম নিয়ে, কখনও টাকার জন্য অসামাজিক কাজে পর্যন্ত জড়িয়ে পড়তে দেখা যাচ্ছে কমবয়সীদের। এমনকি বড়দের অনলাইন গেমেও দেখা যাচ্ছে একই প্রবণতা। ফাটকায় টাকা কামিয়ে নেওয়ার লোভ দেখাতে ছড়িয়ে রয়েছে হরেক বিজ্ঞাপন। মেট্রো রেল থেকে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, সর্বত্র। সেই ফাঁদে পা দিচ্ছেন, টাকা খোয়াচ্ছেন, এমন সংখ্যা কম নয়।
ড্রিম ইলেভেনের মত অ্যাপে মাত্র ১ টাকা থেকে নিজের পছন্দ ফ্যান্টাসি দল বানিয়ে কোটি কোটি টাকা বা অন্যান্য আকর্ষণীয় দ্রব্য জেতার লোভ দেখিয়ে আকৃষ্ট করে। শুরুতে কিছু টাকা জিতলে লোভ আরও দেখানো হবে। অভিযোগ, বেশি টাকা ঢালার সঙ্গে সঙ্গে জেতার হারও কমতে থাকে।
বুঝে নেওয়া যাক কিভাবে একটি দল গঠন করা হয় এই ধরনের অ্যাপে। ধরা যাক ভারত বনাম পাকিস্তানের ক্রিকেট ম্যাচ আছে। ঠিক তার আগে আপনাকে প্রথমে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি দলকে বেছে নিতে বলা হবে। তারপর ভারত ও পাকিস্তান এই দুই দলের মধ্যে থেকে ১১ জন প্লেয়ারকে বেছে নিতে হবে। তবে একটি দল থেকে সর্বাধিক ৬ জনকে দলে নিতে পারেন। তারপর নির্ধারিত মূল্য জমা করতে হবে আপনাকে। আসল খেলা শুরুর বেশ কিছুক্ষণ আগে অ্যাপে দল বানানো বন্ধ হয়ে যায়।
এমন আরও কিছু অ্যাপ হল পারিম্যাচ, মাই ইলেভেন ক্রিকেট, মাই ড্রিম ইলেভেন। বর্তমানে ভারত সরকার এই ধরণের অ্যাপ থেকে আয়ের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি বসায়। একে আবার বলা হয় ‘সিন ট্যাক্স’ বা ‘পাপ কর’। সব থেকে বেশি উদ্বিগ্নের কারণ হলো এই ধরনের অ্যাপগুলির বিজ্ঞাপন করানো হয় তারকা খেলোয়াড়দের দিয়ে। তার প্রভাবও গভীর।
কেবল ক্রিকেট নয়। ফুটবল এবং অন্য জনপ্রিয় খেলাকে ব্যবহার করেও চলে জুয়ার অ্যাপ।
Comments :0