panchayet election 2023

মনোনয়নের তৃতীয় দিনেও অশান্তি অব্যাহত

রাজ্য

২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ব্যালট বাক্স পুড়াচ্ছে তৃণমূল কর্মীরা।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বে অশান্তি অব্যাহত। সোমবার সকাল থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ এবং ভাঙড়ে বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন দিতে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এদিন সকালে কাদ্বীপের বিডিও অফিসে কংগ্রেস প্রার্থীরা মনোনয়ন দিতে গিলে তাদের হাত থেকে কাগজ চিনিয়ে নেয় তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডা বাহিনী। ভাঙড়ে আইএসএফ কর্মীদের বিডিও অফিসে যাওয়ায় বাঁধা দেওয়া অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। তবে ভাঙড়ে বাঁধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বচসা বাঁধা। পুলিশ এসে দুই পক্ষ সড়িয়ে দিলেও পরিস্থিতি উত্তপ্ত রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।


উল্লেখ্য বিডিও অফিসের ১ কিলো মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পুলিশ মোতায়েন থাকলেও বিরোধীদের একাধিক জায়গায় মনোনয়ন দিতে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে। ১৪৪ ধারাকে উপেক্ষা করেই বিডিও অফিসের বাইরে জমায়েত করার অভিযোগ উঠছে শাসক দলের বিরুদ্ধে।
মনোনয়ন দাখিলের প্রথম দিন থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মুর্শিদাবাদের রানিনগর। সোমবার সকালে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকাকে অমান্য করেই বাঁশ, পাইপ হাতে বাইক মিছিল করেন শাসক দলের কর্মীরা। কমিশনের নির্দেশিকায় স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, কোন বাইর মিছিল করা যাবে না। সূত্রের খবর রানিনগরের বিভিন্ন জায়গায় যেখানের ১৪৪ ধারা জারি নেই সেখানে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস প্রার্থীদের। তবে শাসক দলের এই বাঁধাকে উপেক্ষা করেই মনোনয়ন জমা করা হবে বলে জানিয়েছে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস নেতৃত্ব। 

পূর্ব বর্ধমানে সিপিআই(এম) কর্মীদের বাঁধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে ইঁটবৃষ্টি শুরু হয়। পুলিশের সামনেই গোটা ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে। বিপুল সংখ্যক কর্মী সমর্থক নিয়ে মনোনয়ন দিতে যাচ্ছিলেন সিপিআই(এম) প্রার্থীরা। 


এদিন পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের পক্ষ থেকে মনোনয়নের সময় সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কমিশনকে। আদালেতর এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন জানিয়েছে যে তারা একদিন মনোনয়নের সময় বাড়াতে তৈরি।

Comments :0

Login to leave a comment