অধীর চৌধুরিকে আটকালে কংগ্রেস কর্মীদের সাথে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। পুলিশের বাধা পেয়ে রাস্তাতেই সভা করেন অধীর। তিনি বলেন, ‘‘এই সন্দেশখালির পঞ্চায়েত পরিচালিত করে তৃণমূল। এই জায়গায় মহিলাদের ওপর অত্যাচারের ছবি যখন প্রকাশ পাচ্ছে তখন দেশের সামনে বাংলার মুখ পুড়ছে।’’ তার কথায়, বাংলার মানুষ তার সংস্কৃতিকে নিয়ে বেঁচে থাকে। কলকাতা হচ্ছে দেশের সংস্কৃতির রাজধানি। আজ আমরা কোন সংস্কৃতির মধ্যে আছি তার উদাহরন সন্দেশখালি।
অধীরের কথায়, সন্দেশখালির মানুষের সাথে কি হয়েছে তা জানার জন্য তিনি এসেছেন। কোন অশান্তি তৈরি করার জন্য। তার অভিযোগ মমতা ব্যানার্জির নির্দেশে বিভিন্ন জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘১৪৪ ধারা থাকলেও চার থেকে পাঁচজন যেতে পারে কিন্তু যেতে দেওয়া হচ্ছে না।’’
মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি আক্রমণ করে কংগ্রেস সাংসদ বলেন, ‘‘মা মাটি মানুষের নেত্রী হয়েও আপনার বিবেকের দংশন হচ্ছে না? কেন সন্দেশখালির মহিলারা প্রতিবাদ করছে তা জানতে ইচ্ছা করলো না বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর?’’
উল্লেখ্য বিজেপি যেমন সন্দেশখালির মহিলাদের ওপর নির্যাতনকে এক সাম্প্রদায়িক চেহারা দিতে চাইছে ঠিক তেমনই কাজ করছে তৃণমূল। খোদ মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন আদিবাসী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে ঝামেলা।
এদিন অধীর বলেন, ‘‘আজকে সন্দেশখালির ওপর যেই ঘটনা হয়েছে সারা দেশে যেই নিন্দার ঝড় হচ্ছে তার থেকে রক্ষা পেতে আপনি সাম্প্রদায়িক উষ্কানির আশ্রয় নিচ্ছেন আপনি বলছেন সন্দেশখালির আদিবাসীদের সাথে মুসলিমদের মারপটি হচ্ছে, এই কথা বলে আপনি অন্যায় করছেন। রমজান মাসের আগে আপনি বাংলার মানুষকে মুসলিমদের সম্পর্কে কলুষিত করছেন। আপনি তো বলতে পারতেন এই ঘটনায় যারা যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবেন, তা করছেন না। লক্ষীর ভান্ডার দিয়ে মহিলাদের সম্মানকে কেনা যায় না। কংগ্রেস সন্দেশখালি নিয়ে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি মেনে নেবে না।’’
Comments :0