একদিকে জোট সরকার গঠনের জোর তৎপরতা দেখাচ্ছে পাকিস্তান মুসলিম লিগ(নওয়াজ শিবির) বা পিএমএল-এন এবং পাকিস্তান পিপলস্ পার্টি বা পিপিপি। অপরদিকে সোমবার দিনভর ধর্মঘট ও দফায় দফায় জাতীয় সড়ক অবরোধ করলেন পাকিস্তান তেহেরিক-ইনসাফ বা পিটিআই’র কর্মী সমর্থকরা।
সোমবার কার্যত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে ২০২৪ পাকিস্তান সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল। সেদেশের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে জানা গিয়েছে, ইমরান খানের পিটিআই জিতেছে ২৬৫’র মধ্যে ১০১ আসনে। নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন জিতেছে ৭৫ আসনে এবং পিপিপি জিতেছে ৫৪ আসনে।
যদিও পিটিআই’র তরফে দাবি করা হয়েছে ২৬৫ আসনের মধ্যে ১৭০ আসনে জয়ী হয়েছেন তাঁদের প্রার্থীরা। এর পাশাপাশি পাকিস্তানের পাঞ্জাব এবং খাইবার পাখতুনওয়া প্রদেশে সরকার গঠনের মত পর্যাপ্ত সংখ্যা তাঁদের সঙ্গে রয়েছে বলে পিটিআই দাবি করেছে। প্রসঙ্গত, খাইবার পাখতুনওয়া পিটিআই’র ঘাঁটি হলেও পাঞ্জাবের রাজনীতি এতদিন পিএমএল-এন নিয়ন্ত্রণ করে এসেছে। এবার সেখানেও জয়ী হওয়ার দাবি করেছে পিটিআই।
রবিবার পিপিপি’র তরফে প্রেস বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, দলের শীর্ষনেতা বিলাওয়াল ভুট্টোর লাহোরের বাসভবনে জোট সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা চলছে পিএমএল-এন এবং পিপিপি’র মধ্যে। তবে পরবর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা পিএমএল-এন’র শীর্ষনেতা নওয়াজ শরিফ জানিয়েছেন, দেশে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন তাঁরা।
অপরদিকে পিটিআই’র তরফে দফায় দফায় নির্বাচন এবং গণনায় কারচুপি নিয়ে সরব হয়েছেন। গণনায় কারচুপি করে কয়েক ডজন সংসদ আসনে পিটিআই’র প্রার্থীদের হারিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও পিটিআই’র তরফে দাবি করা হয়েছে। এই অভিযোগ সামনে রেখে আদালতের দ্বারস্থও হয়েছেন বহু পিটিআই প্রার্থী। পিটিআই’র তরফে স্পষ্ট বলা হয়েছে, কারচুপির ভোটের ফলাফল কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবেনা।
ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ ঘিরে শনিবার এবং রবিবার লাহোর উত্তাল হয়ে ওঠে পিটিআই’র বিক্ষোভে। বহু পিটিআই কর্মী সমর্থককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু তারপরেও দমে না গিয়ে সোমবারেও দেশজোড়া বিক্ষোভে সামিল হয় পিটিআই। লাহোরের পাশাপাশি রওয়ালপিন্ডি’তেও বিক্ষোভ হয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে দফায় দফায় ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে পাকিস্তানে।
Comments :0