গত ১৫ মার্চ মেদিনীপুর শহরে হামলার শিকার হয় এক আদিবাসী পরিবার। বাড়িতে ঢুকে মারধর করা হয় পরিবারের সদস্যদের। রাত ১০:৩০ নাগাদ চম্পাই হেমব্রমের বাড়িতে আক্রমণ চালায় সেক উজিব সহ প্রায় ৪০ জন দুষ্কৃতী। চম্পাই হেমব্রমকে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। তাঁকে বাঁচাতে এলে তাঁর পুত্র ও পুত্রবধূকেও মারধর ও কুরুচিকর কথা বলা হয়। গুরুতর আঘাত নিয়ে তিনি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হতে হয় তাকে। সেলাই পড়েছে ক্ষতস্থানে।
অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে কোতোয়ালী থানায় অভিযোগ জানায় আদিবাসী অধিকার মঞ্চ। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারির পাশাপাশি পরিবারের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার কথাও তারা জানায়। কিন্তু পুলিশ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে দাবি সংগঠনের।
শনিবার আদিবাসী অধিকার মঞ্চ এবং সামাজিক ন্যায় মঞ্চের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির ডাকে হয় কোতোয়ালী থানা অভিযান। সেখানে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের আদিবাসী আন্দোলনের নেতা পুলিনবিহারী বাস্কে। তিনি বলেন, ‘‘গত ১৫ মার্চ আদিবাসী অধিকার মঞ্চের সক্রিয় সদস্য চম্পাই হেমব্রম ওপর আক্রমণ হয়েছে। পাটাতন দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়েছে। খুনের উদ্দেশ্য নিয়ে আক্রমণ চালানো হয়েছে। ওর কি অপরাধ ছিল?’’
তিনি অভিযোগ করেন ওই হামলার সময় কয়েকজন সিভিক ভলেন্টিয়ার ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তার কথায় সরকারি মদতে হামলা হয়েছে।
পুলিনবিহারী বাস্কে বলেন, ‘‘সুস্মিতা সোরেনকে আগে এই থানায় হেনস্তা করা হয়েছে। তৃণমূল সরকারের আমলে আদিবাসীদের ওপর আক্রমণ বেড়েছে। পুলিশ কেন এখনও অভিযোগ নেয়নি? হাসপাতালে সঠিক কোন চিকিৎসা হয়নি। আঘাত গুরুতর হলে বা কোন কিছু হলে দায় নিতে হবে সরকার এবং পুলিশ প্রশাসনকে।’’
Medinipur
মেদিনীপুরে আদিবাসী পরিবারের ওপর হামলা হয়েছে পুলিশের মদতে, বললেন নেতৃত্ব

×
Comments :0