Accident Birbhum

পাথর বোঝাই ট্রাক উল্টে দুর্ঘটনা, শিশু মৃত্যুতে অগ্নিগর্ভ বীরভূম

জেলা

পাথর বলয়ে বিকল হয়ে যাওয়া ট্রাক উলটে চাপা পড়ে যায় বাবা ও ছেলে। পরে সাত বছরের শিশুটির মৃত্যু হয়। চিকিৎসাধীন জখম বাবা। 
মঙ্গলবার সকালে হওয়া এই দুর্ঘটনায় শিশু মৃত্যুর ঘটনায় দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ে জন রোষ। এলাকার মানুষের ক্ষোভের বহি:প্রকাশে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা। উত্তেজিত জনতা ব্যাপক ভাঙচুর চালায় পাথর থেকে রাজস্ব আদায়ের অফিসে। ভেঙে তছনছ করে দেয় পাথর শিল্পের মালিক সংগঠনের অফিস। আগুন লাগিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে একটি অফিস। যা ঘিরে বীরভূমের মুরারই থানার রাজগ্রাম পাথর শিল্পাঞ্চলের সন্তোষপুর রীতিমত অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। বিরাট পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এলাকায়। এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। 
জানা গিয়েছে এদিন সকালে ছেলেকে বাইকে চাপিয়ে স্কুলে পৌছতে যাচ্ছিলেন বাবা। রাস্তার উপরই চাকা খোলা অবস্থায় লোহার কাঠামোর উপর দাঁড় করানো ছিল একটি বিকল ট্রাক। ট্রাকের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আচমকা ট্রাকটি উলটে যায় বাইক আরোহীদের উপর। মুরারই থানার সন্তোষপুর গ্রামের কাছে রাস্তার উপর হওয়া এই ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নাজেশ হাঁসদা নামে সাত বছরের এক বালকের। জখম হন ছেলেকে বাইকে করে নিয়ে যাওয়া বাবা নাইকি হাঁসদা। 
ঘটনার পরেই এলাকায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। উত্তেজিত লোকজন লরিটিতে ভাঙচুর শুরু করে। ঘটনাস্থলের কাছে থাকা সরকারি রাজস্ব আদায়ের অফিসে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাজস্ব আদায় হচ্ছে অথচ রাস্তা মেরামত করা হয় না। ওই রাস্তা দিয়ে পুলিশের যোগসাজশে ওভারলোড পাথর বোঝায় লরি যাতায়াত করে। সেই কারণে ঘটছে পথ দুর্ঘটনা। 
ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ চিকিৎসাধীন বাবা নাইকি হাঁসদা জানান, ‘‘আমি আস্তে আস্তেই বাইক নিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ সব অন্ধকার হয়ে গেল। কিছু বোঝা ওঠার আগেই সব শেষ। ছেলেকে স্কুলে দিতে যাচ্ছিলাম।’’ মৃত শিশুর বাড়ি স্থানীয় বটতলা নামক এলাকায়। 
এলাকার বাসিন্দা সাদাম আলি জানিয়েছেন, ‘‘মালিকপক্ষ, পুলিশ টাকা তুলতেই ব্যস্ত। দেদার টাকা তোলা হচ্ছে। কিন্তু ক্রাশারের ধূলো বন্ধের জন্য রাস্তায় জল দেওয়া, রাস্তা মেরামত করা কোনোকিছুর দিকেই নজর নেই কারো। যার জেরে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।’’
অপর বাসিন্দা মঈন সেখ জানান, ‘‘সোমবার বিকেল থেকে খারাপ হওয়া ট্রাকটি রাস্তা দখল করে দাঁড়িয়েছিল। মালিককে বলেও কাজ হয় নি। গাড়িটি সরাবার ব্যবস্থা করলে দুধের শিশু প্রাণ যেত না।’’  

Comments :0

Login to leave a comment