পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী সন্ত্রাসের দায় কোনওভাবেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং রাজ্যপাল এড়াতে পারেন না। রাজ্যপাল তো দিল্লি গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। তাহলে তিনি কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কীসের বৈঠক করলেন? এবং সেই দুই বৈঠকে কী কথা হল, সেই বিষয়েও মুখে কুলুপ আঁটলেন কেন রাজ্যপাল? মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন থেকে এই প্রশ্নগুলি তুললেন সিপিআই(এম)’র রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
সেলিম এদিন সরাসরি অভিযোগ করে বলেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং হলেন নাগপুর এবং নবান্নের মাঝের সংযোগ। সেই যোগসূত্রের সঙ্গেই গোপন বৈঠক করে এসেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
সেলিম বলেন, এই ঘটনা থেকেই স্পষ্ট, রাজ্যপালের কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। বিজেপি রাজ্যে বামপন্থীদের উত্থ্বান দেখে আতঙ্কিত। তাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে ব্যবহার করে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়নি। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে। তৃণমূলের মতোই বামেদের উত্থান ঠেকাতে মরিয়া বিজেপিও।
রাজ্যপালের পাশাপাশি একাংশের সংবাদমাধ্যমকেও একহাত নিয়েছেন সেলিম। তিনি বলেছেন, পঞ্চায়েত আসনের সঠিক পরিসংখ্যান টিভিতে দেখানো হচ্ছেনা। জেলাগুলি থেকে আসা রিপোর্টের সঙ্গে টেলিভিশনের পর্দায় দেখানো রিপোর্টের কোনও মিলই নেই।
তিনি অভিযোগ করেছেন, ‘সমীক্ষা সিনড্রোম’-এ চলছে সংবাদমাধ্যমগুলি। এই ‘সিনড্রোম’-এর ফলে ময়দানে বিজেপি না থাকলেও তাঁদের বাড়িয়ে ফুলিয়ে দেখানো হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘ হোলসেল বাজারে বিজেপি কোথাও নেই, কিন্তু জোর করে খুচরো বাজারে নামানো হয়েছে বিজেপিকে।’’
সংবাদমাধ্যমের এই অংশকে একহাত নিয়ে সেলিম বলেছেন, কালনার কাঁকুড়িয়া পঞ্চায়েতের সিপিআই(এম) প্রার্থী গীতা হাঁসদাকে জোর করে তৃণমূলে যোগ দেওয়ানো হল। সেই ঘটনা ফলাও করে প্রচারও করা হল সংবাদমাধ্যমে। কিন্তু এর পিছনে আসলে ঘনটা সামনে আনা হলনা। কোনও সংবাদমাধ্যম দেখালো না, গণনাকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে গীতা হাঁসদা কী বললেন। কোনও সংবাদমাধ্যম দেখালো না কীভাবে সন্তানকে খুনের হুমকি দিয়ে গীতা হাঁসদাকে দলে টানার কথা ফলাও করে ঘোষণা করল তৃণমূল।
Comments :0