দেবাঞ্জন দের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সংগঠনের মূল কথা সবার জন্য শিক্ষা। প্রতিষ্ঠার দিন থেকে এসএফআই এই কথা বলে আসছে। বর্তমান সময় দাঁড়িয়ে আমরা দেখছি নয়া শিক্ষা নীতির নাম করে গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাটাকে কর্পোরেটদের হাতে তুলে দিতে চাইছে বিজেপি। সেই ফর্মুলা মেনে আমাদের রাজ্যেও একই কাজ করছে মমতা ব্যানার্জির সরকার। আট হাজার স্কুল তুলে দিচ্ছে। এই দুই সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই। শিক্ষাকে বাঁচাতে হবে।’’
এসএফআই রাজ্য সম্পাদকের কথায়, ‘‘রাজ্যের কলেজ ক্যাম্পাস গুলোব তৃণমূল যেই পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে তার থেকে ক্যাম্পাস গুলোকে উদ্ধার করতে হবে। ইউনিয়ন রুম দখল করে বসে থাকছে তোলাবাজরা। ছাত্র সংসদ নেই কিন্তু প্রতিবছর তার চাঁদা নেওয়া হচ্ছে। আমরা দাবি করছি অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করতে হবে।’’ দেবাঞ্জনের কথায়, ‘‘এসএফআই সরকারকে বাধ্য করবে ছাত্র সংসদ নির্বাচন ঘোষনা করতে। আমরা বলছি তারিখ দাও, বাকিটা আমরা বুঝে নেবো। ক্যাম্পাস ছাত্রদের। তাদের হাতে আবার তা ফিরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের।’’ এসএফআইয়ের সম্মেলন মঞ্চ থেকে এবার স্লোগান উঠেছিল ক্যাম্পাস ছিনিয়ে নেওয়ার। স্লোগান ওঠে, ‘‘সুদীপ্তর কসম খাও ক্যাম্পাস ছিনিয়ে নাও’’, ‘‘সইফুদ্দিনের কসম খাও ক্যাম্পাস ছিনিয়ে নাও’’।
গত ২২ জানুয়ারি মালদহে শুরু হয় এসএফআইয়ের ৩৮তম রাজ্য সম্মেলন। মঙ্গলবার রাতে তা শেষ হয়। অন্যদিকে সম্মেলনের প্রকাশ্য সমাবেশ করার মাঠের অনুমতির বিষয়ে প্রশাসন চূড়ান্ত অসহযোগিতা করে চলেছে। তবে প্রশাসনিক বাঁধা থাকলেও সমাবেশ হবে বলে জানিয়েছে নেতৃত্ব।
Comments :0