দীপশুভ্র সান্যাল, জলপাইগুড়ি
কোকো চাষে ভরসা করতে চাইছেন কৃষকদের একাংশ। সুপারি-নারকেল বাগানের মাঝেই কোকো চাষ করলে মোটের ওপর দ্বিগুণ আয় হওয়ার সম্ভাবনা জানাচ্ছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা। উত্তরবঙ্গের মনোরম পরিবেশ কোকো চাষের উপযোগী, বলছেন তাঁরা। কোকো গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসল। ভারতবর্ষে যে পরিমাণ কোকো চাষ হয়, কোকোর চাহিদা তার থেকে কয়েকগুন বেশি। মূলত দক্ষিণ ভারতে হয় কোকোর চাষ।
জলপাইগুড়ি জেলার মোহিত নগরে রয়েছে কেন্দ্রীয় কৃষি খামার এবং গবেষণা কেন্দ্র। সেখানকার অধিকর্তা কৃষিবিজ্ঞানী ডক্টর অরুণ কুমার সিট কোকো চাষ নিয়ে আশার কথা শোনাচ্ছেন। তিনি বলছেন, ‘‘সাধারণত অল্প ছায়া যুক্ত আবহাওয়াতে কোকো চাষ ভালো হয়। উত্তরবঙ্গে নারকেল ও সুপারি বাগান রয়েছে প্রচুর। সেসব বাগানের অল্প ছায়া কোকো চাষের জন্য বিশেষভাবে উপযুক্ত।’’
পরীক্ষামূলক ভাবে জলপাইগুড়ির হর্টিকালচার রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্ট ফার্মে চাষ চলছে। তাতে খুব ভাল ফল মিলেছে। জমিতে গিয়ে দেখা গেল, ইতিমধ্যেই খুব ভাল কোকো চাষও হয়েছে সেখানে। কোকো চাষ করতে কলমের চারা লাগানো হলে দু'বছর পর থেকে এবং বীজের চারা লাগানো হলে তিন বছর থেকে ফুল-ফল আসতে শুরু করে।
আর্থিকভাবে লাভ পেতে হলে প্রায় চার থেকে পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে। এরপর প্রতিটি গাছ থেকে প্রায় ৬০ থেকে ৭০টি ফল পাওয়া যেতে পারে। মোট ২ কেজি থেকে ৪ কেজি কোকো পেতে মিলতে পারে। বাজারে এর মূল্য ১৫০ থেকে ২০০ টাকা প্রতি কেজি।
কৃষিবিজ্ঞানীরা বলছেন, নারকেল সুপারি বাগানের মাঝেই অতিরিক্ত খাটনি না খেটে কোকো চাষ করে কৃষক বাড়তি আয় করতে পারবেন। এক বিঘা সুপারি বাগানে কমবেশি প্রায় ১৮০টি সুপারি গাছ থাকে। সেই বাগানে প্রায় ৯০টি কোকো গাছ লাগানো যেতে পারে। ফলে একই জমিতে কোকো চাষ করে কৃষক অতিরিক্ত আয় করতে পারবেন।
Comments :0