tribals exclude from Uniform Rules in Jharkhand

ঝাড়খণ্ডে ডিগবাজি শাহের, অভিন্ন বিধি থেকে আদিবাসীদের বাদ রাখার ঘোষণা

জাতীয়

সবার জন্য একই দেওয়ানি বিধি হতে হবে। এই স্লোগান ছড়িয়েই অভিন্ন দেওয়ানি বিধির প্রচারে ব্যস্ত বিজেপি। অথচ, ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী প্রচারে দলেরই শীর্ষনেতা অমিত শাহ বললেন আদিবাসীদের রাখা হবে বিধির বাইরে।
ধর্মকে ভোটের জন্য ব্যবহারেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিজেপি’র। বিরোধীরা একথা বলেছে বারবারই। বিজেপি’র এই বিধি ঘিরে আদিবাসী জনতার ক্ষোভও ধরা পড়েছে শাহের বক্তব্যে।
ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি’র নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এখানেই তিনি বলেছেন, আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ অভিন্ন দেওয়ানি বিধির অন্তর্ভুক্ত হবে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাঁচির এক জনসভাতে নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করে বলেন, "আমাদের সরকার ঝাড়খণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করবে। কিন্তু আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ তার মধ্যে পড়বেন না।’’
বিজেপি নেতার অভিযোগ, ‘‘ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা জোট সরকার মিথ্যে তথ্য পরিবেশন করছে। ওরা বলছে যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি আদিবাসীদের অধিকার এবং সংস্কৃতির উপর প্রভাব ফেলবে। এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন কারণ তাদের এই আইনের আওতার বাইরে রাখা হবে।"
জেএমএম জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন রবিবার বলেন, "বিজেপি ঝাড়খন্ডে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ করতে চাইছে। এনআরসি ও অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কোনোটাই এখানে লাগু হবে না।" 
সোরেন আগেও বলেছেন যে বিজেপি রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এই অভিন্ন দেওয়ানি বিধিকে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ভাবে তুলে ধরছে। উল্লেখ্য, উত্তর ভারতের বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে এই আইন প্রণয়ন করে উগ্র হিন্দুত্বের আস্ফালন করছে। মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে বিয়ে, সম্পত্তির উত্তরাধিকারের মতো দেওয়ানি বিষয়কে একই ছাঁচে ফেলার আইন পাশ হয়েছে বিজেপি চালিত বিভিন্ন রাজ্যে। দেশে যদিও বরাবরই, এমনকি হিন্দুদেরও, বিভিন্ন অংশে বৈবাহিক বিভিন্ন রীতি এবং নিয়ম চালু রয়েছে। এই বৈচিত্র রয়েছে আদিবাসী সমাজেও। 
বিজেপি মুসলিমদের ঘিরে প্রচার করে হিন্দু ভোটব্যাঙ্ককে সুরক্ষিত করতে নেমেছে। 
বিশেষজ্ঞরা মনে করিয়েছেন যে ঝাড়খণ্ডে আদিবাসী জনসংখ্যা যথেষ্ট বেশি। আদিবাসী জনতার ক্ষোভ রয়েছে বনাঞ্চলের অধিকার হাতছাড়া হওয়ায়। ক্ষোভ রয়েছে দেশেজুড়ে উচ্ছেদের শিকার হওয়ায়। তার ওপর এই অভিন্ন বিধি সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্রকে বিপদের মুখে ফেলেছে। 
আদিবাসী ভোট পাওয়ার জন্য অমিত শাহ এই রাজনৈতিক কৌশল নিয়েছেন। আদিবাসী বনাম মুসলিম সমীকরণে সচেষ্ট বিজেপি। 
বামপন্থীরা বরাবর এই আইনের বিরোধিতা করে এসেছে। তাঁদের বক্তব্য বিজেপি রাজনৈতিক লক্ষ্যে এই আইন এনেছে আদপে যার কোনও প্রয়োজন নেই। দেশের বহুত্বকে ধ্বংস করবে এই বিধি।

Comments :0

Login to leave a comment