এদিন স্কিল ইন্ডিয়া কম্পিউটার শিক্ষক সংগঠনের ব্যানারে আন্দোলনে সামিল হন শিক্ষকরা। তাঁরা দাবি জানান, অবিলম্বে বন্ধ বেতন চালু করা হোক। একইসঙ্গে পাঁচ বছর ধরে যাঁরা প্রশিক্ষণ নিয়ে বসে রয়েছেন, তাঁদেরও অবিলম্বে নিয়োগ করা হোক।
এই দুই দাবিকে সামনে রেখে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে কালীঘাটে পৌঁছন স্কিল ইন্ডিয়ার প্রশিক্ষকরা। অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে তাঁদের মেসেজ করে বলা হচ্ছে, অর্থদপ্তর নাকি তাঁদের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। একইসঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনেও সেইমতো প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছে। কিন্তু বিকাশ ভবনে গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা যাচ্ছে, এই মর্মে কোনও রিপোর্ট তাঁদের কাছে পাঠানো হয়নি।
অর্থাৎ, স্কিল ইন্ডিয়া প্রশিক্ষকদের সঙ্গে কার্যত প্রতারণা করে চলেছে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর।
সরকারি স্তরের এই মিথ্যাচারের প্রতিবাদ জানাতেই মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে হাজির হন এই প্রশিক্ষকরা। পুলিশ ভেবেছিল, তাঁরা হাজরা মোড়ে জমায়েত করবেন। সেইমতো প্রস্তুতিও নেওয়া হয়। যদিও পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে কালীঘাটের সামনে পৌঁছে যান স্কিল ইন্ডিয়ার প্রশিক্ষকরা। তাঁরা কালীঘাট পেট্রোল পাম্পের সামনে অবস্থানে বসেন। সেখানেই তাঁদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পুলিশ।
প্রশিক্ষকদের অভিযোগ, এর আগেও একাধিকবার তাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। কিন্তু মঙ্গলবারের মতো পুলিশি নিপীড়নের মুখোমুখি হতে হয়নি তাঁদের। কার্যত রাস্তা থেকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়েছে তাঁদের। লাথি, ঘুশি মারা হয় লাগামহীন ভাবে। হাতের উপরেই চেপে দেওয়া হয়েছে প্রিজন ভ্যানের লোহার দরজা। তাতে ৩জন আন্দোলনকারীর হাত কেটে গিয়েছে বলে অভিযোগ। এরসঙ্গে চলে অশ্লীল ইঙ্গিতবাহী গালাগাল।
কালীঘাটের সামনে থেকে মোট ৪০ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা নাগাদ তাঁদের প্রত্যেককে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া হয়।
স্কিল ইন্ডিয়া কম্পিউটার শিক্ষক সংগঠনের অন্যতম সংগঠক কানিজ ফতেমা জানিয়েছেন, তাঁদের গ্রামে অভিষেক ব্যানার্জির নবজোয়ার সভা হয়। কিন্তু সেই সভায় গিয়ে যাতে তিনি অভিযোগ জানাতে না পারেন, সেইজন্য তাঁকে গৃহবন্দী করে স্থানীয় থানার আইসি।
Comments :0