প্রসঙ্গত, ২০১৫ সাল থেকে উত্তর ইয়েমেনের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে হাউথি বিদ্রোহীদের হাতে। সেই বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে প্রতিবেশি দেশ সৌদি আরব। সৌদি সেনার অবরোধের ফলে আমদানি নির্ভর ইয়েমেনে সমস্ত বিদেশী পণ্যের প্রবেশ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তারফলে প্রবল ক্ষতির মুখে পড়েছে ইয়েমেনের অর্থনীতি। দেশজুড়ে দেখা দিয়েছে দুর্ভিক্ষ। এর পাল্টা ইরানের সাহায্যে হাউথিরা একের পর এক ড্রোন হামলা চালিয়েছে সৌদি আরবের তেল সংশোধনাগারগুলি লক্ষ করে।
সংঘাত থামাতে সম্প্রতী উদ্যোগ নিতে দেখা গিয়েছে রাষ্ট্রসংঘকে। রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি হান্স গ্রুন্ডবার্গ ওমানের মাসকাট শহরে ওমানি এবং হাউথি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে শান্তিচুক্তির প্রাথমিক রূপরেখা তৈরি হয় বলেই খবর।
এই বৈঠকের কিছুদিন পরে দক্ষিণ ইয়েমেনের বন্দরগুলি থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় সৌদি আরব। তারফলে ফের এক বিদেশী পণ্য ঢুকতে শুরু করে ইয়েমেনের বাজারে।
সেই চুক্তির রেশ ধরেই আগামী সপ্তাহের বৈঠক হতে চলেছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। ইয়েমেনের বণিকসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ইয়েমেনের সমস্ত বন্দর এবং এয়ারপোর্টের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হতে পারে। একইসঙ্গে সরকারি আমলাদের বেতন পুনঃরায় চালু করার বিষয়টিও উঠে আসতে পারে। এর মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় পুনঃর্গঠন প্রক্রিয়া গতি পাবে বলেই তাঁর মত।
বৈঠক ফলপ্রসু হলে ওষুধ, গম, রসায়নিক সার, ব্যাটারি সহ ৫০০ পণ্য ফের আমদানি করতে পারবে ইয়েমেন।
Comments :0