LF NIRAPADA SARDAR

সন্দেশখালির লড়াইয়ের শিক্ষা সর্বত্র পৌঁছানোর আহ্বান

রাজ্য কলকাতা

শুক্রবার মৌলালি যুব কেন্দ্রে বামফ্রন্টের কনভেনশনে বক্তব্য রাখছেন নিরাপদ সর্দার।

বনাঞ্চল সংরক্ষণের আইন লঘু করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। যার প্রভাব পড়ছে বনাঞ্চলে জমির অধিকার আইনের ওপর। আদিবাসীদের জমির পাট্টা দেওয়া হচ্ছে না। দেশের প্রায় ১৪ কোটি আদিবাসীর জল, জমি এবং জঙ্গলের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। কর্পোরেটের স্বার্থে আনা হয়েছে এই বদল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য সফরের দিনই তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছেন খেতমজুর আন্দোলনের নেতা নিরাপদ সর্দার। শুক্রবার মৌলালী যুবকেন্দ্রে বামফ্রন্টের ডাকে গণকনভেনশনে বক্তব্য রেখেছেন তিনি। সন্দেশখালির এই প্রাক্তন বিধায়ক জমি লুট, সম্ভ্রম লুটের প্রসঙ্গ টেনে রাজ্যজুড়ে প্রচারের আবেদন জানিয়েছেন। রাজ্যে একশো দিনের বকেয়া মজুরি দেওয়ার কাজে পূর্ণ স্বচ্ছতার দাবি জানিয়েছেন সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদক। 
এদিন গণ কনভেনশনে সভাপতিত্ব করেছেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। সন্দেশখালির অত্যঅচারের বিরুদ্ধে সারা রাজ্যে প্রচারের ডাক দেন তিনি। সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বিভেদ রুখে একজোটে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়েছেন। বক্তব্য রেখেছেন সিপিআই রাজ্য সম্পাদক স্বপন ব্যানার্জি, আরএসপি’র সাধারণ সম্পাদক মনোজ ভট্টাচার্য, ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা নরেন চ্যাটার্জিও। 
সর্দার বলেছেন, ‘‘কেন্দ্র এমনভাবে আইন বদলেছে যাতে যখন খুশি আদিবাসীদের উচ্ছেদ করা যায় জঙ্গল, পাহাড় থেকে। মাটির তলার সম্পদ কর্পোরেটের হাতে তুলে দিতে এই কৌশল।’’
তিনি বলেছেন, ‘‘১০০ দিনের কাজের ভিত্তি তৈরি করেছিল রাজ্যের বাম আন্দোলন। সেই ভিত্তি নষ্ট করা হয়েছে। মানুষকে লুট করা হয়েছে। এখন বেনামি ৬০ লক্ষ মানুষকে তৃণমূল বলেছে টাকা দেবে। ভুয়ো লোকের নামে টাকা ঢুকবে। টাকা দিয়ে ভোট কেনা হবে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘আইন মেনে কাজ হোক। কারা টাকা পেলেন তার তালিকা তৈরি হোক।’’
সর্দার বলেছেন, ‘‘২০১১ সালের পর থেকে সন্দেশখালির মা বোনেরা অত্যাচারিত হয়েছেন। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া সেই মানুষ ঘুরে দাঁড়িয়ে দিশা দেখাচ্ছেন। রাজ্য স্তরে এই আন্দোলনকে তুলে ধরার আবেদন জানাচ্ছি।’’

এদিন কর্মসূচির প্রস্তাব রাখেন বিমান বসু। বিভিন্ন গণসংগঠনকে রাস্তায় নামার আহ্বান জানান। তবে তারিখের পরিবর্তন হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Comments :0

Login to leave a comment