২০২২ সালে তৃণমূল নেতা রাজকুমার মান্নার বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। মান্নার সঙ্গে আহত হন তৃণমূলেরই বিশ্বজিৎ গায়েন ও বুদ্ধদেব মান্না। ২০২২’র ৩ ডিসেম্বর রাজ্য পুলিশ এফআইআর দায়ের করলেও বিস্ফোরক আইনের ধারা ছিল না। ২০২৩’র ২১ মার্চ বিস্ফোরক আইন যুক্ত হয় হাইকোর্টের নির্দেশ। আদালতেই এনআইএ তদন্তের আবেদন জমা পড়েছিল। ২০২৩’র ৪ জুন তদন্ত শুরু করে এনআইএ। এনআইএ‘র সূত্রে খবর, তদন্তের স্বার্থে বলাই, মনোব্রত সহ ৮ জনকে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। এরা কেউ যোগাযোগ না করায় আটক করা হয়। পরে ভূপতিনগর থানা নিয়ে যাওয়ার পরে অভিযুক্ত দুজনকে কলকাতা নিয়ে যাওয়া হয়।
ভূপতিনগর কাণ্ডে ধৃত বলাই মাইতি এবং মনোব্রত জানা বিস্ফোরণের মূল মাথা। জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইয়ের পক্ষ থেকে এমনই দাবি করা হয়েছে। তাঁদের আদালতেও পেশ করা হয়েছে।
শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর থেকে তৃণমূলের দুই স্থানীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে এনআইএ। সে সময়ে একাংশ ইট পাটকেল ছুঁড়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থার গাড়িতে। তৃণমূলের পতাকাও দেখা গিয়েছে ভিড়ে। ৫ জানুয়ারি উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখা শাহজাহানের বাড়িতে রেশন দুর্নীতির তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত হয় ইডি। রবিবার এনআইএ-বিজেপি যোগের অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি।
জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)‘র আধিকারিকদের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে পালটা এফআইআর। হামলার জন্য দায়ের আগের এফআইআর’র ভিত্তিতে কোনও গ্রেপ্তারি নেই। ভূপতিনগর তল্লাশি নিয়ে ফের আরোপ পাল্টা আরোপে মগ্ন হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী। ঘটনাপ্রবাহ মনে করিয়ে দিচ্ছে সন্দেশখালিকে।
বামপন্থীরা বিভিন্ন সময়েই বলেছেন, রাজ্যের পুলিশ তদন্ত না করে কেন্দ্রীয় এজেন্সির জনন্য জায়গা করে দেয়। আর তদন্তের মাঝে বিজেপি নেতানেত্রীরা ভাষণ দিলেও তদন্তের কিনারা হয় না। একে অন্যের বিরুদ্ধে ভাষণ দেয় কেবল। রাজনীতিতে ‘তৃণমূল বনাম বিজেপি’ দ্বৈরথ তৈরির চেষ্টা চালায়।
Comments :0