এদিন সকালে ৮০ দিনের বেশি সময় হাসপাতালে ভর্তি থাকা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এতোটাই অসুস্থ যে তাকে আইসিইউতে শিশুদের জন্য বরাদ্দ ১৮ নম্বর বেডে স্থানান্তরিত করা হয়।
গোটা ঘটনায় সকাল থেকে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। একদিন মূর্শিদাবাদে যখন শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে আর সেই নিয়ে সরকার কোন কথা বলছে না তখন এসএসকেএম হাসপাতালের এই ঘটনা নতুন বিতর্ক তৈরি করেছে।
সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘যখন তৃণমূলের দুষ্কৃতি নেতাদের সেফ হোম হয় এসএসকেএম তখনই বোঝা যায় হাসপাতালের অবস্থা। এতোজন বাচ্চা মূর্শিদাবাদে মারা গেলো সরকারের কোন হেল দোল নেই। মুখ্যমন্ত্রী শিশু বিশেষজ্ঞদের নিয়ে দার্জিলিঙ গিয়েছেন ব্যাক্তি গত কাজে। আর এখানে কালিঘাটের কাকুকে শিশুদের বেডে রাখা হবে এটাই স্বাভাবিক।’’
সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালিঘাটের কাকুকে গ্রেপ্তার করেছে ইডি। তিনি অভিষেক ব্যানার্জির সংস্থা লিপ্স এন্ড বাউন্ডসের কর্মী, যেই সংস্থার নাম নিয়োগ দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে রয়েছে।
উল্লেখ্য দীর্ঘদিন ধরে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসার নাম করে ভর্তি রয়েছেন সুজয়। ইডির পক্ষ থেকে তার কন্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে যাওয়া হলে বার বার খালি হাতে হাসপাতাল থেকে ফিরতে হয়েছে তাদের। আদালতে বিষয়টি জানানোর পর ইএসআই হাসপাতালের চিকিৎসকদের একটি মেডিকেল টিম গঠনের নির্দেশ দেয় আদালত। সেই টিম গঠন হয়েছে কি না তা এখনও জানা যায়নি। তবে এরই মধ্যে কাকুর স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য নিয়ে এসএসকেএম-এর সুপারকে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থা।
সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে আসছেন যে, চিকিৎসার নাম করে হাসাপাতলে কাকুর কন্ঠস্বর বদলানো হচ্ছে।
এই সুজয়কৃষ্ণ সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে স্বীকার করেছেন যে তার মালিক অভিষেক ব্যানার্জি। তিনি এও দাবি করেছেন যে তার মালিককে কেউ ছুঁতে পারবে না। তদন্ত তার কাছে এসেই থেমে যাবে।
Comments :0