চলতি বছরের মার্চ মাসে মণিপুর হাইকোর্টের বিচারপতি এমভি মুরলীধরণ সেরাজ্যের সরকারকে নির্দেশ দেন, মেইতেই সম্প্রদায়কে এসটি সংরক্ষণের আওতায় আনার বিষয়টি বিবেচনা করতে। তিনি ৪ সপ্তাহের সময়সীমাও বেধে দেন। সেই রায়কে ঘিরে গোষ্ঠী সংঘর্ষের আগুন জ্বলেছে মণিপুরে। প্রাণ হারিয়েছেন ৭১ জনের বেশি মানুষ। গৃহহীন হতে হয় ৫০ হাজারের বেশি মানুষকে। বুধবার মণিপুর আদালতের সেই রায়কে কার্যত তুলোধনা করল সুপ্রিম কোর্ট।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পিএস নরসিমহা এবং বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালার ডিভিশন বেঞ্চে মণিপুর সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। সেখানে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মণিপুর হাইকোর্টের নির্দেশকে খারিজ করে দেয়। ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, তথ্যগত বিভ্রান্তির উপর দাঁড়িয়ে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এসসি এবং এসটি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট গাইড লাইন রয়েছে। সেই গাইডলাইন গুলিকে উপেক্ষা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি। একইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধান বেঞ্চ নানা সময় বিভিন্ন রায় দিয়েছে। মেইতেই সংরক্ষণ প্রশ্নে রায় দেওয়ার আগে সেই বেঞ্চের রায়গুলিকেও পড়ে দেখার প্রয়োজন বোধ করেন নি হাইকোর্টের বিচারপতি।
সুপ্রিম কোর্টের তরফে প্রথমে এমভি মুরলীধরণের দেওয়া রায়ে স্থগিতাদেশ জারির কথা বলা হয়। কিন্তু শুনানি চলাকালীন সেখান থেকে সরে আসে ডিভিশন বেঞ্চ। বেঞ্চের যুক্তি, ইতিমধ্যেই মণিপুর হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে বিচারপতি এমভি মুরলীধরণের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আপিল করা হয়েছে। ফলতঃ ডিভিশন বেঞ্চের কাছে সুযোগ থাকছে নিজেদের দেওয়া রায় ফিরিয়ে নেওয়ার। তাই সর্বোচ্চ আদালত এই মুহূর্তে হস্তক্ষেপ করতে চায় না।
মণিপুরে গোষ্ঠী সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে সেরাজ্যের আদিবাসী মানুষের সাংবিধানিক অধিকার এবং নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবিতে একগুচ্ছ পিটিশন দাখিল হয়েছে সূুপ্রিম কোর্টে। বুধবার সমস্ত পিটিশনকে এক জায়গায় এনে শুনানি হয়।
Comments :0