বাবার মাংসের দোকান রয়েছে এবং সেখানে গোমাংস পাওয়া যায়। এই ‘অপরাধে’ তামিলনাডুর কোয়েম্বাটুরে এক সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল সরকারি স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
ফ্রি প্রেস জার্নালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওই ছাত্রীকে দিয়ে ক্লাসের বাকি পড়ুয়াদের জুতো পরিষ্কার করিয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষক। জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম অভিনয়া।
মেয়ের উপর হওয়া এই নির্যাতনের প্রতিবাদে অভিযুক্ত শিক্ষক এবং স্কুলের বিরুদ্ধে শিক্ষাদপ্তরে একটি পিটিশন জমা দেন ছাত্রীটির পরিবার। তারপরেই ঘটনা সামনে আসে।
পিটিশনে ছাত্রীটির পরিবার লিখেছেন, ‘‘২ মাস আগে আমার মেয়ের শিক্ষক আমার পেশা সম্পর্কে আমার মেয়েকে প্রশ্ন করে। মেয়ে সত্যিটাই বলে। সে জানায় আমার মাংসের দোকান রয়েছে। সেখানে গোমাংস পাওয়া যায়। ২ সপ্তাহ আগে আমার মেয়ের উপর অভিযুক্ত শিক্ষক নির্যাতন চালায়। তাকে মারধর করা হয়। একই সঙ্গে আমাদের মাংস খাওয়ার অভ্যাস নিয়েও কটূক্তি করেন তিনি।’’
পরিবারের অভিযোগ, ‘‘এই ঘটনা স্কুলের প্রিন্সিপালকেও তাঁরা জানান। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। স্কুলের তরফে উলটে অভিযুক্তকে আড়াল করার চেষ্টা হয়।’’
যদিও হাল না ছেড়ে উচ্চতর আধিকারিকদের দ্বারস্থ হন শিশুটির পরিবার। পিটিশনের পাশাপাশি স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও জমা দিয়েছেন তাঁরা।
তামিলনাডুর শিক্ষাদপ্তর জানিয়েছে, ঘটনার গুরুত্ব উপলব্ধি করে ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Comments :0