তৃণমূল দপ্তরে সালিশির পরও দায়ের অভিযোগ। ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করল বলাগড় থানার পুলিশ।  রবিবার ধৃতকে চুঁচুড়া আদালতে পেশ করা হয়। গুপ্তিপাড়া চরকৃষ্ণবাটি এলাকার তাপস মাহাতো স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি ক্রিকেট কোচিং একাডেমি চালান তাপস। 

 বছর পনেরোর এক নাবালিকা তাপস মাহাতোর কাছে প্রাইভেট পড়ত বছর দুয়েক ধরে। পাশাপাশি ক্রিকেটের তালিমও নিত। নাবালিকার বাবা নেই, মামার বাড়িতে থাকে। কিশোরীর মামার অভিযোগ, গত এক বছর ধরে ভয় দেখিয়ে যৌন নির্যাতন চালায় অভিযুক্ত। মাস খানেক আগে জোর করে আবারও নির্যাতন করে। বিষয়টি জানাজানি হতে স্থানীয় ভাবে মেটানোর চেষ্টা হয়। না মেটায় শনিবার রাতে গুপ্তিপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকার পরিবার।

নাবালিকার মামা জানান, তার ভাগ্নিকে মোবাইল ফোন কিনে দিয়েছিলেন শিক্ষক। অভিযুক্ত শিক্ষকের স্ত্রীয়ের পালটা অভিযোগ তাঁর স্বামীকে ফাঁসানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানাচ্ছে, এলাকায় তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচিত তাপস। নাবালিকার সাথে সম্পর্ক জানাজানি হওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে এলে স্থানীয় তৃণমূলের দপ্তরে সালিশি হয়। শাসক দলের নেতাদের দেওয়া প্রস্তাব মানতে নারাজ হয় নাবালিকার পরিবার। 

বলাগড় থানার পুলিশ জানিয়েছে অভিযোগ পাওয়ার পরই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো মামলা দায়ের হয়েছে। ধৃতকে আজ চুঁচুড়া আদালতে পাঠানো হয়েছে।