পঞ্চায়েত ভোটে ভোট লুটের চেহারা রাজ্যব্যাপী। রাজ্যের এমন কোনো জেলা বা ব্লক নেই যেখানে ভোটের দিন ভোট লুট হয়নি। যেখানে শাসকদল মানুষের সতর্কতা থাকায় ভোট লুট করতে পারেনি সেখানে গনণার দিন কারচুপি ব্যালট লুট এসব করে জয় ঘোষণা করিয়ে নিয়েছে বিডিওকে দিয়ে। কলকাতা হাই কোর্টে একের পর এক মামলা দায়ের হয়েছে। বিডিওদের হাজিরা দেবার ডাক পরছে আদালতে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল ধূপগুড়ির বিডিওর নাম। ধূপগুড়ি ব্লকের সাকোয়াঝোরা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সোনাখালী এলাকার ১৫/২০৮ বুথে সকাল ১১ টার পর থেকে ভোট লুঠের অভিযোগ ছিলো, ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের বাইরে থেকে বেশ কিছু ব্যালট ও উদ্ধার হয় বলে অভিযোগ তোলেন কংগ্রেস প্রার্থী সাহনাজ পারভিন। এবিষয়ে তিনি হাই কোর্টে মামলা করেন। এবার মামলায় হাজিরা দিতে সমন পেলেন ধূপগুড়ির বিডিও শঙ্খদীপ দাস। তাঁকে আগামী ৩ অগাস্টের মধ্যে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
কংগ্রেস প্রার্থী সাহনাজ পারভীন সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ‘‘ভোটের দিন সকাল থেকেই শাসক দলের দুষ্কৃতীরা সাধারণ মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি। ব্যাপক হারে ভোট লুট চলে। বিডিও পুলিশকে বলে লাভ হয়নি। ভোট গ্রহণের সময় শেষ হবার পরেও পুলিশ প্রিসাইডিংকে বার বার বলা স্বত্বেও বাক্স গালা সিল করা হয়নি। গনণার দিন দেখা যায় যা ভোট পরেছে তার থেকে বেশি ব্যালট বাক্সে রয়েছে। বুথের বাইরে ছাপ দেওয়া ৪৭টি ব্যালট পড়ে ছিল’’।
Comments :0