Bojboj

বজবজে আক্রান্ত সিপিআই(এম) কর্মী

রাজ্য জেলা

বজবজের রাতের অন্ধকারে সিপিআই(এম) কর্মীর বাড়িতে হামলা চালালো তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার। অভিষেক ব্যানার্জির লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে এই এলাকা। গত পৌরসভা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় বজবজ পৌরসভা জিতলেও এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বজবজের একাধিক আসনে প্রার্থী দিয়েছে সিপিআই(এম)। আর তাই রাতের অন্ধকারে বাড়ি ঢুকে আক্রমণ। 

মঙ্গলবার রাত ১২টার পর সিপিআই(এম) কর্মী জগন্নাথ হাজরার বাড়িতে চড়াও হয়। জগন্নাথ হাজরার মেয়ে তিথি হাজরা একজন এসএফআই কর্মী। তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘রাতের বেলায় হঠাৎ করে বাড়ির সামনে লোক জড়ো হয়ে বাবার নাম ধরে ডাকতে থাকে এবং বাজে কথা বলতে থাকে। প্রথমে আমরা কেউ বাইরে আসিনি। দরজায় বার বার মারতে থাকে। তারপর ঘরে ঢুকে যায় তৃণমূলের দুষ্কৃতিরা। বাবাকে বাইরে এনে মারতে থাকে। আমি আটকাতে গেলে আমাকে শারিরীক ভাবে হ্যানস্থা করে। মা, ঠাকুমা আটকাতে গেলে তাদেরকেও হেনস্থা করা হয়।’’

তিনি জানিয়েছেন ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ও আক্রমণ হয় তাদের পরিবারের ওপর। গোটা মনোনয়ন পর্ব জুড়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় সিপিআই(এম) কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে তৃণমূল। কাকদ্বীপ, ভাঙড়ের মতো বিভিন্ন জায়গায় পাল্টা প্রতিরোধও হয়েছে। আক্রমণ হয়েছে। ডায়মন্ড হারবার লোকসভার একাধিক জায়গায় সিপিআই(এম) কর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে। কিন্তু কাউকে দল ছাড়তে বাধ্য করতে পারেনি তৃণমূল। জগন্নাথ হাজরার ওপর একাধিকবার আক্রমণ হয়েছে কিন্তু তিনি দল ছাড়েনি।

উল্লেখ্য শুক্রবার কাকদ্বীপে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে, ‘এরাম শান্তিপূর্ণ মনোনয়ন কখনও হয়নি।’ মুখ্যমন্ত্রী যখন এই কথা বলছেন তখন তার পাশে বসে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি। সেই সাংসদ যার বাহিনী বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় পৌরসভা দখল করে। বিডিও অফিস ঘিরে রাখে যাতে বিরোধীরা কোন ভাবে মনোনয়ন দিতে না পারে। আবার এই অভিষেককে বলতে শোনা গিয়েছে যে বিরোধীরা যদি মনোনয়ন দিতে না পারে তাহলে তাকে জানাতে। অথচ অভিষেক যখন বসিরহাটে তখন সিপিআই(এম) দপ্তরের ঢুকে মনোনয়নের কাগজ নষ্ট করে প্রার্থীদের ওপর কর্মীদের ওপর হামলা চালায় তৃণমূল। অভিষেক যখন ভাঙড়ে তখন সিপিআই(এম) আইএসএফ কর্মীদের ওপর চলছে গুলি বোমা।

Comments :0

Login to leave a comment