তাই কার্টুন শেয়ার করতে গিয়ে জেলে যেতে হয়েছিল অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্রকে। আর মোদী বা বিজেপির সম্পর্কে সমালোচনা করায় জেলে যেতে হয় প্রবীর পুরকায়স্থদের বা মেরে ফেলা হয় উত্তরপ্রদেশের সাংবাদিকদের মতো। তেমনই ঘটনা ঘটল দমদমে।
আর পাঁচজন রসিক বাঙালির মতো দমদমের ক্লাব টাউনের বাসিন্দা সুশান্ত দেব, একটি ভাইরাল হওয়া ছবি শেয়ার করেছিলেন ফেসবুকে। যেভাবে ছবিটি তোলা হয়েছে তা নিঃসন্দেহে হাসির উদ্রেক করবেই। কিন্তু নিজেদের দোষ ঢাকতে খড়গহস্ত হয় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। কারণ হাসির কারণটি যে অঞ্চলে অবস্থিত, সেখানেই বাস সুশান্ত দেবের। ছবিতে দেখা যাচ্ছে পুরসভার বর্জ্য ফেলার জায়গার একটি হোর্ডিং যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর একটি ছবির সঙ্গে লেখা ‘‘পচনশীল বর্জ্য’’ আর তাতেই চটে লাল স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১৫ নং ওয়ার্ডের পুরপিতা দেবাশীষ ব্যানার্জী নিজে দলবল নিয়ে মাচড়াও হয় সুশান্ত দেবের বাড়ি। তখন সুশান্তর ঘরে একা তার মেয়ে। মদ্যপ অবস্থায় দলবলসহ দরজায় লাথি মারতে থাকে। দশম শ্রেণীর পরীক্ষার্থী মেয়েটি এখনোও ট্রমায়। এই হামলার খবর শুনে সুশান্ত এলে তাকে রাস্তায় ফেলে বেদম মার মারে ‘থ্রেট কালচারের’ তৃণমূলী ‘কুশীলবরা’। ছবিতে স্পষ্ট তার একটা চোখের অবস্থা। আর এটাই আপাতত আরজি কর থেকে ৪ কি.মি. দূরে দমদমের ‘থ্রেট সংস্কৃতি’। যেখানে বিরোধী দলের কর্মী, সাধারণ মানুষ তো বটেই, ছাড় পায় না খোদ তৃণমূলও!
বুধবার এই হামলার ঘটনায় চোখে গুরুতর জখম নিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। আপাতত স্থিতিশীল বলে জানা গেছে স্থানীয় সূত্রে। আজকেই থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করার কথা তার। এখন দেখার বিষয় শাসকের টেবিলের তলায় লুকিয়ে থাকা পুলিশ অভিযোগ আদৌ দায়ের করে কিনা।
threat culture
অব্যাহত থ্রেট কালচার, এবার দমদম
×
Comments :0