স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুলকার পুকুরে পড়ে জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে তিন স্কুল ছাত্রের। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বিকালে উলুবেড়িয়া থানা এলাকার বহিরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বহিরা শশ্মানতলায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতেরা হল অরিন দে (৬), ইশিকা মন্ডল (৭) এবং শৌভিক দাস (১১)। মৃতরা উলুবেড়িয়া থানা এলাকার জগদীশপুরের মাদার মেরিনা স্কুলের নার্সারী, কেজি ওয়ানে ও চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া ছিল। সকলের বাড়ি উলুবেড়িয়া থানা এালাকার বহিরায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ। অন্যদিকে পরিস্থিতি দেখতে উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় গভার্মেন্ট মেডিক্যাল হাসপাতালে যায় হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের সুপার সুবিমল পাল, উলুবেড়িয়ার এসডিপিও শুভম যাদব, উলুবেড়িয়া ১ নং ব্লকের বিডিও এইচ এম রিয়াজুল হক। পুলিশ পুলকারের চালক শ্রীমন্ত বাগকে আটক করেছে।
জানা গেছে, প্রতিদিনের মত এদিন বিকালেও উলুবেড়িয়া জগদীশপুরের মাদার মেরিনা স্কুল থেকে পড়য়াদের নিয়ে পুলকারটি বহিরার দিকে যাচ্ছিল। পড়ুয়াদের নামাতে নামাতে বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ বহিরা শশ্মানতলার কাছে পুলকার থেকে একটি পড়ুয়াকে নামান গাড়ি চালক। তখন গাড়িতে ৫ জন পড়ুয়া ছিল। এরপর পুলকার চলার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে পুকুরে উলটে যায়। পুরো পুলকারটি জলে ডুবে যায়। ঘটনাটি লক্ষ করে স্থানীয়রা চিৎকার চেচামেচি শুরু করে দেয়। স্থানীয়দের চেষ্টায় পুলকারের চালক ও দুই পড়ুয়াকে উদ্ধার হয়। বাকিদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। বেশ কিছুক্ষন পর আরও তিনজনকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু ততক্ষনে বেশ কিছুটা সময় কেটে যায়। তাদেরকে তড়িঘড়ি উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় গভার্মেন্ট মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তিন পড়ুয়াকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ গাড়িটি পুকুরে পড়ে যাওয়ার পর চালক শিশুদের উদ্ধার না করে নিজের প্রাণ বাঁচাতে ব্যাস্ত ছিল। তারা আক্ষেপ করে বলেন, পুলকারের চালক একটু তৎপর হলে তিন পড়ুয়াকে বাঁচানো সম্ভব হতো।
প্রত্যক্ষদর্শী সুমনা খাঁড়া জানান, গাড়ির সামনের কাঁচ খোলা ছিল বলে দু’জন বেরিয়ে আসতে পেরেছে। পিছনের সিটের কাঁচ বন্ধ থাকায় তিনজন বের হতে পারেনি। জায়গাটি ফাঁকা হওয়ায় এলাকার বাসিন্দারা অনেক পরে খবর পেয়েছে বলে উদ্ধার কাজে অনেক দেরী হয়েছে।
Student Death
দুর্ঘটনায় ৩ পড়ুয়ার মৃত্যু উলুবেড়িয়ায়
উলুবেড়িয়া হাসপাতালে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মৃতের পরিবার।
×
Comments :0