All Party Meeting

কংগ্রেসের বিক্ষোভ, সর্বদলীয় বৈঠক ১৩ জুন

রাজ্য

all party meeting


অবাধ শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবিতে শনিবার নির্বাচন কমিশনের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা। রাস্তায় শুয়ে পড়ে কংগ্রেস কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। গ্রেপ্তার করা হয় অনেক কংগ্রেস কর্মীকে।
সর্বদলীয় বৈঠক ছাড়াই বৃহস্পতিবারই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছেন নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। ঘোষণা অনুসারে শুক্রবার অর্থাৎ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রথম দিন রাজ্যের অনেক জায়গাতেই প্রশাসনের সেই প্রস্তুতি দেখা যায়নি। ডিসিআর নেই, মনোনয়নপত্র নেই, কর্মী-অফিসার নেই। পুলিশের পরিবর্তে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ব্লক অফিসে নিরাপত্তার জন্য পাঠানো হয়।  কোথাও বামফ্রন্ট প্রার্থীরা মনোনয়ন দিতে না পেরে ফিরে এসেছেন। কোথাও অনেকক্ষণ বসে থাকতে হয়েছে।

 কয়েকটি এলাকায় বামফ্রন্ট প্রার্থী, কর্মীদের হুমকি দিয়েছে। মারধর করেছে। সেই আক্রমণ প্রতিহত করেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বামফ্রন্ট-কংগ্রেস প্রার্থীরা। বাম কংগ্রেস প্রার্থীদের চড়া রোদে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ঘন্টার পর ঘন্টা। তারপরেও চূড়ান্ত হয়রানিও শিকার হন প্রার্থীরা। শাসকদলের হাতে খুন হন বিরোধী দলের এক কর্মী। তৃণমূলের বিরোধিতা করায় মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে গুলি করে খুন করা হয় এক কংগ্রেস কর্মীকে। শনিবার সকাল থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে ঘিরে অশান্তি ছড়ায় ডোমকল সহ রাজ্যের একাধিক জেলায়। এদিন বারাবনি, বীরভূমের লাভপুর, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর হামলা চালায় শাসক দলের দুষ্কৃতীরা। এদিন ডোমকল মহকুমা হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তৃণমূলের সারাংপুর অঞ্চল সভাপতি বসির মোল্লাকে। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বাম-কংগ্রেস প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেয় বসির মোল্লা। মনোনয়ন জমা দিতে বিরোধীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে।


বামফ্রন্টের তরফ থেকে নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি লিখে অব্যবস্থার মনোনয়ন জমার জন্য অতিরিক্ত সময় দেওয়ার দাবি জানানো হয়। এদিন অবাধ শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা। 
উল্লেখ্য শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টও কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলার শুনানিতে জানিয়েছে যে নির্বাচনের জন্য পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয়নি। সোমবার ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।


এদিন রাজভবনের তলব করা হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে। তাঁকে তলব করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বেলা পৌনে দুটো নাগাদ রাজভবনে পৌঁছান রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। এইসবের মধ্যেই সর্বদলীয় বৈঠক ডাকল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৩ জুন সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফে।


 

Comments :0

Login to leave a comment