Building Collapse

বিরাটিতে নির্মীয়মাণ বাড়ি ভেঙে মৃত্যু, গ্রেপ্তার ১৮

রাজ্য

মৃতার পরিবার সঙ্গে সুজন চক্রবর্তী।

গার্ডেনরিচের ছায়া এবার উত্তর দমদম পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে। উত্তর ২৪ পরগনার বিরাটিতে নির্মীয়মান বাড়ির একাটি অংশ ভেঙে এক মহিলার মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে শনিবার রাতে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মৃতার নাম কেয়া শর্মা চৌধুরী(৪৫)। এই ঘটনার পর মৃতার স্বামী সুদীপ শর্মা চৌধুরী প্রোমোটার-সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে এয়ারপোর্ট থানায় এফআইআর দায়ের করেছিলেন। তাঁর দাবি, পৌরসভার অনুমোদন ছাড়াই ওই বহুতলটি নির্মান হচ্ছিল। অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার সকালে পুলিশ ওই নির্মীয়মান বাড়ির মোট  ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনার পরে প্রোমোটারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন এলাকার লোকজন। পলাতক অভিযুক্ত প্রোমোটার।


 

শনিবার রাতে উত্তর দমদম পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের অফিস থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে শরৎ কলোনির শরৎ বোস রোডে একটি বেআইনি নির্মাণের একাংশ ভেঙে পড়ে। ঘটনায় এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। সেই সেই সময় ওই নির্মিয়মান বাড়ির নীচে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিলেন তিনি। তাঁর মাথায় ইট ভেঙে পড়ে। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় দেখা মিলেনি স্থানীয় কাউন্সিলর মহুয়া শীলের। ঘটনাস্থলে উত্তর দমদমের পৌরপ্রধান বিধান বিশ্বাস গিয়ে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাশ দিয়েছেন। 
খবর পেয়ে ঘটনাচলে পৌঁছান দমদম লোকসভা কেন্দ্রের সিপিআই(এম) প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী। তিনি মৃতার পরিবার সঙ্গে কথা বলেন। পাশে থাকার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, গার্ডেনরিচের মতো নির্মীয়মাণ বাড়ি ভেঙে পড়ছে দমদমে। কি কারণে এই ঘটনা ঘটছে তা খতিয়ে দেখতে হবে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিযোগ্য ব্যবস্থা নিতে হবে। মানুষের এই মৃত্যুর জন্য দায়ী কে।
গার্ডেনরিচে বহুতল ভাঙার ঘটনার স্মৃতি এখনও তাজা। এরই মধ্যে ফের বিরাটিতে নির্মীয়মান বাড়ির একাটি অংশ ভেঙে পড়ার ঘটনায় প্রোমোটারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন এলাকার লোকজন। মৃতার স্বামী সুদীপ শর্মা চৌধুরী ওই নির্মীয়মাণ বাড়ির আইনি বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর দাবি, অনুমোদন ছাড়াই ওই বহুতলটি তৈরি হচ্ছিল। সামনে রাস্তা রয়েছে মাত্র ৮ ফুটের। স্থানীয় বাসিন্দারাও দাবি করেছেন, অবৈধভাবে নির্মাণ হয়েছে এই বহু তলটি।  ইতিমধ্যেই ওই বাড়িতে কর্মরত প্রায় ১৮ জনকে আটক করেছে বিমানবন্দর থানার পুলিশ।

Comments :0

Login to leave a comment