ঐতিহ্যবাহী জয়দেব মেলা চলাকালীনই অজয় পাড়ে ঢুকে পড় দুটি দাঁতাল হাতি। যা ঘিরে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। যদিও দিনভর প্রচেষ্টার শেষে দাঁতাল দুটিকে নিজেদের হেপাজতে নিতে সক্ষম হয়েছে বন দপ্তর। বন দপ্তরের দাবি, কোনওরকম ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়তে হয় নি এই দাঁতাল দুটির বিপথে চলে আসার কারণে। বন দপ্তর জানিয়েছে, পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা জঙ্গল থেকে অজয় নদ পার হয়ে জয়দেবে ঢুকে পড়ে দাঁতাল হাতি দুটি৷ যদিও মেলা থেকে বেশ কিছুটা দূরে জয়দেব মোড়ে এদিন ভোর বেলায় হাতি দুটিকে দেখতে পান স্থানীয় কৃষকরা। খবর দেওয়া হয় পুলিশ ও বন দপ্তরকে। দিনভর চেষ্টা চলে যাতে হাতি দুটি লোকালয়ে ঢুকতে না পারে। নানাভাবে তাদের পথ আগলে রাখার চেষ্টা হয় এবং অবশেষে দুপুরের পড়ে ঘুমের ইঞ্জেকশন দিয়ে হাতি দুটিকে অচৈতন্য করে বন দপ্তর নিজেদের হেপাজতে নেয়। বন দপ্তরের আধিকারিক জানিয়েছেন, হাতি দুটিকে বাঁকুড়ার বড়জোড়ার জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
১৩ জানুয়ারি থেকে বীরভূমের অজয় নদের তীরে শুরু হয়েছে ৪০০ বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী জয়দেব মেলা। ১৬ জানুয়ারি মেলা শেষ হয়েছে। তবে এখনও ভাঙা মেলা রয়েছে। বাঁকুড়া থেকে পশ্চিম বর্ধমানের আড়া, কাঁকসা জঙ্গল হয়ে অজয় নদ পেরিয়ে দুটি প্রাপ্ত বয়স্ক দাঁতাল হাতি ঢুকে পড়ে বীরভূমের জয়দেবে। তবে মেলা থেকে বেশ কিছুটা দূরে জয়দেব মোড়ের কাছে চাষ জমিতে ঘোরাঘুরি করছিল দাঁতাল দুটি৷ কৃষকরা দেখতে পেয়ে জয়দেব পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেয়। খবর পেয়ে ইলামবাজার থানার বোলপুর ও বোলপুর বন দপ্তরের রেঞ্জার জ্যোতিষ বর্মনের নেতৃত্ব বন কর্মীরা যান। তবে কোন রকম ক্ষয়ক্ষতি করেনি দাঁতাল দুটি৷ নিজেদের মত গাছের পাতা খেতে থাকে। যাতে কোন ভাবে মেলার পথে হাতি দুটি না যায় তার জন্য দূরে আগুন জ্বালিয়ে চেষ্টা করতে থাকে বনকর্মীরা। শেষমেশ তাদের নিরস্ত করতে সক্ষম হন বন কর্মীরা। অনুমান, জয়দেব মেলায় দেদার বিক্রি হয় কলার কাঁদি৷ দিকে দিকে রয়েছে কলা গাছ৷ খাবারের সন্ধানেই নদী পেরিয়ে এপারে হাতি দুটি প্রবেশ করেছিল৷ এর আগেও বহুবার বাঁকুড়া থেকে কাঁকসা জঙ্গল হয়ে বীরভূমের ইলামবাজার জঙ্গলে হাতি প্রবেশ করতে দেখা গিয়েছে। বোলপুর বন দপ্তরের রেঞ্জার জ্যোতিষ বর্মন জানিয়েছেন, ‘‘কোন ক্ষয়ক্ষতি করেনি ওরা। মেলার পথেও যায়নি। সহজেই ওদের ফিরিয়ে দেওয়া সক্ষম হয়েছে। গ্রামবাসীরাও সহযোগিতা করেছেন।"
Elephants
কাঁকসা জঙ্গল থেকে বীরভূমের অজয় পাড়ে দাঁতাল হাতি, ভাঙা মেলায় চাঞ্চল্য
×
Comments :0