ডিজিটাল অ্যারেস্ট’-র নাম করে টাকা হাতানোর জালিয়াতি চলছে বিদেশ থেকে। রানাঘাট পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগের তদন্তে বেরিয়েছে এমনই তথ্য।
সাইবার জালিয়াতির এক ঘটনায় দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রায় ১ কোটি টাকা জালিয়াতি হলেও উদ্ধার করা গিয়েছে ৪ লক্ষ টাকা। তবে গ্রেপ্তারি এই তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ মোড় মনে করছেন গোয়েন্দারা।
মঙ্গলবার তাঁরাই জানিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর দুবাই বা কম্বোডিয়ার কোনও জায়গা থেকে।
ফোন পেয়েছিলেন অক্টোবরে। বলা হয়েছিল, আর্থিক দুর্নীতিতে যোগাযোগ রয়েছে। ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’হবে। বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপকের তখন শোচনীয় দশা। সেই সুযোগই নিয়েছিল জালিয়াতরা। ঠকিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে ১ কোটি টাকা।
পুলিশ জানিয়েছে ধৃতদের মধ্যে ৭জন মহারাষ্ট্রের, ৩জন গুজরাটের। হরিয়ানার আরও ৩ জন ধরা পড়েছে পুলিশের জালে।
সাইবার জালিয়াতির বড় মাধ্যম এখন হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’। কোনও না কোনও তদন্ত সংস্থার আধিকারিকের নাম করে চলে হুমকি। এক্ষেত্রেও হয়েছে তাই। ৩৬-৩৭ স্তরে হাতানো টাকা পাচার হয়েছে। খুব দ্রুত হয়েছে টাকা চালাচালি। এর একটি অংশ চালান করে দেওয়া হয়েছে বিদেশে। পুলিশ প্রায় ১০০ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ’ করেছে। অধ্যাপককে ফোন কলের সূত্র ধরে চক্রের হদিস পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ হলেও দ্রুত সরে গিয়েছে টাকা।
সাইবার শাখার গোয়েন্দাদের বক্তব্য, ১৯ অক্টোবর ফোন পেয়েছিলেন অধ্যাপক। তারপর চলে যায় টাকা। তিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন ৬ নভেম্বর। মাঝের ১৫ দিন টাকা পাচার করে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।
গোয়েন্দাদের বক্তব্য, ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ বলে যে কিছু হয় না এই সচেতনতার অভাবেই হচ্ছে জালিয়াতি। কোনও তদন্ত সংস্থার আধিকারিক ফোন বা ভিডিও কলে এমন হুমকি দিয়ে তথ্য চাইতে পারে না। টাকাও নিতে পারেন না। অথচ হুমকির ফাঁদে পা দিচ্ছেন অনেকেই। ডিজিটাল সব তথ্য প্রকাশ বা লেনদেন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে জালিয়াতি হচ্ছে।
Digital Arrest Nadia
‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’: জালিয়াতির উৎস থাকছে বিদেশেও, বলছেন গোয়েন্দারা
×
Comments :0