ক্লাব ঘর থেকে চটকল শ্রমিকের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হলো বুধবার। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্তে নেমেছে ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হুগলীর চাঁপদানীর এ্যাঙ্গাস জুটমিলের শ্রমিক নরেন্দর পাশির (৩২) মৃতদেহ উদ্ধার হয় এদিন সকালে। গান্ধী ময়দান লাগোয়া একটি ক্লাব ঘর থেকে পাওয়া যায় তাঁর দেহ। মঙ্গলবার রাতে মঙ্গল দল নামে ওই ক্লাবে শুতে গিয়েছিলেন এই যুবক নরেন্দর। তাঁর বাবা লালচাঁদ পাশিও চটকল শ্রমিক। দু’জনে একসঙ্গে কাজ করেন। দীর্ঘদিন ধরে রাতে ক্লাব ঘরে শুতে যেতেন নরেন্দর। গতকালও গিয়েছিলেন। ক্লাবের পাশেই থাকেন চটকল শ্রমিকের আত্মীয় তারা দেবী। তিনি জানিয়েছে যে এদিন সকালে তাঁকে ডাকে এলাকার দু’জন। ক্লাব ঘরে ঢুকে দেখেন মাথা থেকে রক্ত বেরিয়ে পড়ে আছে মেঝেতে। পাশে থাকা ইটে রক্ত লেগে আছে।
নরেন্দরের সঙ্গে কাল রাতে আর কে কে ছিল ক্লাবে তা জানেন না পরিবারের সদস্যরা। বাবা লালচাঁদ বলেন, ‘‘সকালে কাজে যাওয়ার আগে ছেলে রুটি করে বলল বাবা খেয়ে নাও। আমি খাইনি। কাজ করে ঘরে ফিরে আসি। রাত দশটায় ক্লাবে গিয়ে ছেলেকে দেখতে পাইনি। রাত একটা পর্যন্ত জেগে ছিলাম, ছেলে আসেনি। সকালে উঠে ক্লাবের সামনে গিয়ে দেখি ক্লাব বন্ধ। কী থেকে কী হয়েছে জানি না।’’
ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠায়। ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারন স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Comments :0