ছাদ ধসে উত্তর প্রদেশে ১৪ জন শ্রমিকের মৃত্যুতে শনিবার গ্রেপ্তার হলো হিমঘরের দুই মালিক। উত্তরাখণ্ডের হলদোয়ানি থেকে এদিন তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সম্ভলের ইন্দিরা রোডের উপর ওই হিমঘরের ছাদ ভেঙে পড়ে। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া অন্ততপক্ষে ২৪ জনকে বের করে আনা সম্ভব হয়। তাঁদের মধ্যে মৃত্যু হয় ১৪ জনের। বাকিরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। আরও কেউ ভগ্নস্তূপের নিচে আটকে পড়েছেন কি না তা জানা যায়নি। নিয়মবিরুদ্ধভাবে ওই হিমঘর তৈরি করা হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করা হয়েছে। ডিভিসনাল কমিশনার এবং মোরাদাবাদের ডিআইজি’র নেতৃত্বে এই কমিটি তদন্ত করবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলাশাসক ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশও দিয়েছেন।
এদিকে, পুলিশ জানাচ্ছে, ওই হিমঘর তিন মাস আগে তৈরি হয়েছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি প্রশাসনের কাছ থেকে। যে পরিমাণ আলু ওই হিমঘরে মজুত করা হয়, তা নির্দিষ্ট মাপের থেকে অনেক বেশি ছিল। প্রশ্ন উঠেছে, তিন মাস ধরে যখন বিনা অনুমতিতে হিমঘরটি চলছিল, তখন কেন বিজেপি প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এখন দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর দোষ আড়াল করতে তড়িঘড়ি ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করে দেওয়া হলো।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই’র খবর থেকে জানা গিয়েছে, হিমঘরের মালিক অঙ্কুর আগরওয়াল এবং রোহিত আগরওয়ালের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ প্রাথমিকভাবে দু’লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন মৃত শ্রমিকদের পরিবারপিছু। পরে মুখ্যমন্ত্রী কৃষক যোজনা যোগ করে ক্ষতিপূরণ পাঁচ লক্ষ করা হয়েছে।
দিন দুয়েক আগেই ছত্তিশগড়ে ইটের পাঁজায় শ্বাসরোধ হয়ে ঘুমের মধ্যে পাঁচ শ্রমিক প্রাণ হারান। অসুস্থ হয়ে পড়েন আরও একজন। কাজের জায়গায় পরপর শ্রমিক-মৃত্যু প্রমাণ করে দিচ্ছে, দেশের শ্রমিক শ্রেণি কীভাবে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নিত্যদিন কাজ করে চলেছেন।
Comments :0