প্রাণহানি, হাজার হাজার মানুষের ঘর হারানোর পর মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মণিপুরে যাওয়ার সময় পেলেন না কেন?
মঙ্গলবার, বছরের শেষ দিনে, বীরেন সিংয়ের ‘ক্ষমা চাওয়ার’ পর এই মর্মে প্রশ্ন তুলছে সারা দেশে। কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী দেশের বহু জায়গায় গিয়েছেন। বিশ্বেরও বহু দেশে গিয়েছেন। অথচ মণিপুরে যাওয়ার সময় পেলেন না তিনি!’’
এদিন মণিপুরের বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং বলেছেন, ‘‘সব গোষ্ঠীর কাছে আবেদন, পুরনো ভুল ক্ষমা করে দিন। ভুলে যান। নতুন করে জীবন শুরু করুন।’’
সিং বলেছেন, ‘‘মণিপুরে যা হয়েছে তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। বহু মানুষ নিকটজনকে হারিয়েছেন। বহু মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন।’’
বীরেন সিংয়ের দাবি, গত ৩-৪ মাস তুলনায় শান্তি দেখা গিবেছে রাজ্যে। তিনি বলেন, ‘‘আশা করছি নতুন বছরে স্বাভাবিক হবে রাজ্য।’’
মণিপুরে সংখ্যাগুরু মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে আদিবাসী কুকি-জো গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের জেরে রাজ্যজুড়ে সংঘাত চলেছে গত বছর থেকে।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০২৩’র মে থেকে অক্টোবরে ৪০৮ জায়গায় গুলি চলেছে। ২০২৩’র নভেম্বর থেকে ২০২৪’র এপ্রিল পর্যন্ত ৩৪৫ জায়গায় গুলি ছোঁড়ার ঘটনা রয়েছে। এ বছরের মে থেকে ১১২টি জায়গায় গুলিচালনার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। ’’
সিংয়ের দাবি নিরাপত্তা বাহিনীর হাত থেকে লুট করে নেওয়া সব অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। ৩১১২টি অস্ত্র উদ্ধার করা গিয়েছে। ২৫১১টি বিস্ফোরক সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।’’
মণিপুরে ধারাবাহিক সংঘাতে নিহতের সংখ্যা প্রায় তিনশো। নভেম্বরে সংঘাত ফের বৃদ্ধি পায়। মর্মান্তিক গোষ্ঠী সংঘর্ষের পিছনে বিজেপি-আরএসএস’র বিভাজনের রাজনীতি বারবার সামনে এসেছে। ভোটের লক্ষ্যে মেইতেইদের প্ররোচনা দিতে দেখা গিয়েছে বিজেপি নেতাদের। বীরেন সিং নিজে কুকিদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়িয়েছেন ‘বহিরাগত’ বলে। মণিপুরের পর বিভিন্ন রাজ্যে পরিস্থিতি অনুযায়ী বিশেষ অংশকে ‘বহিরাগত’ বলার রাজনীতি থেকে যদিও সরে আসেনি নরেন্দ্র মোদীর দল।
Manipur Biren Singh
মণিপুর: মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমা চাইছেন, প্রধানমন্ত্রী যাননি কেন, উঠছে প্রশ্ন
×
Comments :0