BUDDHADEV BHATTACHARYA

বাস্তবায়িত হবেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্বপ্ন বলছে জনতা

রাজ্য

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মরদেহে দলীয় পতাকা দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে নেতৃত্ব

সিপিআই(এম) রাজ্য দপ্তরে শায়িত প্রিয় নেতা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের দেহ। বাইরে লাইন দিয়ে সাধারণ মানুষ। কারোর হাতে মালা, তো কারোর হাতে লাল গোলাপ। এন্টালি মার্কেট পর্যন্ত দীর্ঘ লাইন। সময় যত বাড়ছে মানুষের ভিড় ততই বাড়ছে। 

ভিড়ের চাপে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মরদেহ দলীয় দপ্তরে ঢোকাতে বেগ পেতে হয় দলীয় কর্মীদের। মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী, শমীক লাহিড়ীরা শববাহী শকট থেকে দেহ দলীয় দপ্তরে নিয়ে আসেন। 

ডিওয়াইএফ এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। কোন্নগর থেকে কলকাতায় এসেছেন দীপেন চক্রবর্তী। ৭৫ বছর বয়সী ওই ব্যাক্তি জানান, ‘‘বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য যখন ডিওয়াইএফ এর রাজ্য সম্পাদক সেই সময় থেকে আমি যুব সংগঠনের সাথে যুক্ত। আজ তাকে শ্রদ্ধা জানাতে আসবো না এটা হতে পারে না।’’

অন্যান্য দিন আকাশ মেঘলা থাকলেও আজ সকাল থেকেই আকাশ পরিষ্কার। বাইরে রোদের দাঁড়িয়ে আছেন প্রৌঢ়। তিনি বলেন, ‘‘বৃষ্টি হোক রোদ হোক আজ এখান থেকে যাবো না। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য স্বপ্ন দেখে ছিলেন  শিল্পায়নের। আমাদের দায়িত্ব সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার।’’

দমদম থেকে এসেছেন বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত এক যুবক। হাতে লাল গোলাপ এবং বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ছবি। তিনি বলেন, ‘‘ছাত্র যুবদের নয়নেরমনি বুদ্ধবাবু। ২০১১ সালে আমি প্রথম ভোট দিয়েছিলাম। সেই বছর বামফ্রন্ট সরকারের পতন হয়। কিন্তু তিনি যেই স্বপ্ন দেখেছিলেন তা ভুল ছিল না। আজও তা বাস্তব।’’

সিপিআই(এম) নেতৃত্ব এবং সিআইটিইউ সর্বভারতীয় কাউন্সিল সভায় যেগ দিতে আসা প্রতিনিধিরা শ্রদ্ধা জানানোর পর মুজফফর আহমেদ ভবনের দরজা খুলে দেওয়া হয় সাধারণ মানুষের জন্য। 

দরজা খোলার সাথে সাথে একে একে মানুষ দলীয় দপ্তরে প্রবেশ করতে থাকেন প্রিয় নেতাকে একবার শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য। অনেকের চোখেই জল। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেহের কাছে এসে কান্নায় ভেঙেও পড়েন অনেক কর্মী সমর্থকই।  

Comments :0

Login to leave a comment