দীর্ঘ একমাসের বেশি সময় জেলে থাকার পর জামিন পেলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্ট তাকে জামিন দিয়েছে। গত ২১ জানুয়ারি ধর্মতলা থেকে নওশাদ সহ ৮৮ জন আইএসএফ কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। একাধিক মিথ্যা মামলা দেওয়া হয় তাদের। নওশাদের নামে চাপানো হয় একের পর এক মিথ্যা মামলা।
নওসাদ সিদ্দিকীর গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন নাগরিকরা। কলকাতায় হয় মিছিল। শিল্পী-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে সমাজের বহু অংশের মানুষ প্রতিবাদে সোচ্চার হন। তীব্র প্রতিবাদ জানায় বামফ্রন্ট। ২১ জানুয়ারি ধর্মতলায় আইএসএফ’র রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল। সেখানে আসার পথে আক্রান্ত হন ভাঙড়ের বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী। হামলায় নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম এবং দলবলকে। ভেঙে দেওয়া হয় সিদ্দিকীর গাড়ির কাচ। জামিন আটকাতে সিদ্দিকীর বিরুদ্ধেই খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনে পুলিশ। সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ প্রশ্ন তোলেন, আক্রান্ত বিধায়ক সিদ্দিকী জেলে। আর আরাবুল ইসলাম বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে কেন। রাজ্যে আইনের শাসন কোন স্তরে নেমেছে তার নমুনা এই দ্বিচারিতা।
এমনকি হাইকোর্টও পুলিশের আচরণ বিস্ময় প্রকাশ করেছিল। অবরোধের জন্য ৮৮ জনকে আটকে রাখা, তা-ও দীর্ঘসময় কেন, প্রশ্ন তোলে আদালত। তৃণমূল কংগ্রেসের পুলিশ যদিও নানা অভিযোগ ছড়াতে থাকে। তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ বার্তালাপ ঘিরেও অভিযোগ জানানো হয়। কিন্তু তার মধ্যে অপরাধ কোথায় জানাতে পারেনি প্রশাসন।
নওসাদ সিদ্দিকীকে বৃহস্পতিবার জামিন দিয়েছে হাইকোর্টই।
Comments :0