GLOBAL WARMING

উষ্ণতম বছর ছিল ২০২৩, জানাল রাষ্ট্রসংঘ

আন্তর্জাতিক

global warming climate change bengali news

২০২৩’কে উষ্ণতম বছরের স্বীকৃতি দিল বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা বা ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন, সংক্ষেপে ডাব্লিউএমও। সংস্থার আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, প্রাক শিল্পায়ন যুগের তুলনায় বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

২০২৩’কে উষ্ণতম বছরের স্বীকৃতি দিল বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা বা ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন, সংক্ষেপে ডাব্লিউএমও। সংস্থার আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, প্রাক শিল্পায়ন যুগের তুলনায় বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

রাষ্ট্রসংঘের অধিনস্থ এই সংস্থা জানাচ্ছে, ২০২৩ সালের জুন থেকে ডিসেম্বর, প্রতি মাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। এরমধ্যে সবথেকে উষ্ণতম ২টি মাস হল জুলাই এবং আগস্ট। 

ডাব্লিউএমও’র সেক্রেটারি জেনারেল সেলেস্টে সাউলো জানিয়েছেন, ‘‘মানজাতির সামনে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হল জলবায়ু পরিবর্তনে রাশ টানা। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমাজের দুর্বল অংশের মানুষ সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।’’

তিনি আরও বলেছেন, ‘‘আমাদের কাছে আর অপেক্ষা করার মত সময় নেই। আমরা ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নিয়েছি। কিন্তু আরও কাজ করতে হবে, এবং দ্রুত করতে হবে। আমাদের গ্রীন হাউস গ্যাসের নির্গমন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কমাতে হবে। একইসঙ্গে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিবেশ বান্ধব শক্তির উৎপাদন বাড়াতে হবে।’’

যদিও আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, ২০২৩ সালের গড় উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য এল নিনো এবং লা নিনা অনেকাংশে দায়ী। তাঁদের বক্তব্য, এল নিনোর প্রভাবে ২০২৪ সালে তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। 

সাউলো জানাচ্ছেন, ‘‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অসাম্য আরও তীব্র হারে বাড়ছে। এরফলে সহনশীল উন্নয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দারিদ্র, ক্ষুধার মত বিষয়গুলির প্রকোপ বাড়ছে।’’

ডাব্লিউএমও জানাচ্ছে, ১৯৮০ সালের পর থেকে প্রতি দশকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ৯ বছর সমস্ত রেকর্ড অতিক্রম করে বৃদ্ধি পেয়েছে উষ্ণায়ন। 

এই সংস্থা জানাচ্ছে, ২০২৩ সালে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা অত্যধিক বেশি ছিল। তারফলে দক্ষিণ মেরু অঞ্চলের হিমবাহগুলি আশঙ্কাজনক হারে গলতে শুরু করেছে। প্রাকৃতিক ভারসাম্যে এই বদলের ফলে জীববৈচিত্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। 

রাষ্ট্রসংঘ জানাচ্ছে, দীর্ঘমেয়াদী এই পরিবর্তনের ফলে দাবানল, অতিবৃষ্টি, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

এই বিষয়গুলিকে তুলে ধরে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুটেরেজ জানিয়েছেন, ‘‘এই ঘটনাগুলিকে ট্রেলার বলা চলে। আমরা সতর্ক না হলে আগামী দিনে এটাই পৃথিবীর ভবিষ্যত হতে চলেছে।’’

মহাসচিবের কথায়, ‘‘মানবজাতির বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ফলে পৃথিবী ঝলসে যাচ্ছে। রেকর্ড ভাঙা তাপমাত্রা রুখতে আমাদেরও ছকভাঙা উপায়ে ভাবতে হবে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় রোখার এখনও সময় রয়েছে। কিন্তু তারজন্য উষ্ণায়নের হারকে কিছুতেই ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মাত্রা ছাড়াতে দেওয়া চলবে না।’’

Comments :0

Login to leave a comment