শুক্রবার পানাগড়ে একই পরিবারের তিন জনের মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে কাঁকসা থানার অন্তর্গত রেলপাড়সারদাপল্লির একটি বাড়িতে। মৃতদের নাম সিমরণ বিশ্বকর্মা (২৮), সোনু বিশ্বকর্মা ( ২২) ও সীতা দেবী (৭০)। এটি খুনের ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে এসিপি ( কাঁকসা) সুমন কুমার জয়সোয়াল ও ডিসি (পূর্ব) কুমার গৌতম এসেছিলেন।
ঘটনাটি ঘটেছে সারদাপল্লির বাসিন্দা ধনঞ্জয় বিশ্বকর্মার বাড়িতে। সস্ত্রীক ধনঞ্জয় কিছুদিন হল তাঁর বড়মেয়ের বাড়ি আসামে গিয়েছেন। বাড়িতে ছিল ধনঞ্জয়ের বিবাহিতা কন্যা সিমরণ, ধনঞ্জয়ের শাশুড়ি সীতা দেবী ও শ্যালকের পুত্র সোনু বিশ্বকর্মা। বাড়ির ভিতর ঘর থেকে সিমরণ ও সীতা দেবীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। সোনুর রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়েছিল বাড়ির বাইরে সিঁড়ির নিচে উঠানে। দুই মহিলার মৃতদেহে শ্বাসরোধ করার চিহ্ন পাওয়া গেছে এই তিনজনকে খুন করা হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে শাশুড়ি ও শ্যালকের পুত্র কিছুদিন হল ধনঞ্জয়ের বাড়িতে এসেছিলেন। পাশেই ধনঞ্জয়ের ভাইয়ের বাড়ি। এদিন ভাইয়ের স্ত্রী প্রথম মৃতদেহগুলি দেখেন। ভাইয়ের স্ত্রী ও প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, এদিন বেলা ৮টা নাগাদ হেলমেট পরিহিত এক বাইক আরোহী ধনঞ্জয়ের বাড়িতে এসেছিল। কিছুক্ষণ পরে তাকে চলে যেতেও দেখা গেছে। তারপরই মৃতদেহগুলি দেখা যায়। হেলমেট পরে থাকার কারণে তাকে চেনা যায়নি।
পুলিশ মৃতদেহ গুলি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে। পুলিশও মনে করছে এটি খুনের ঘটনা হতে পারে। কিন্তু কী কারণে তিনজনকে খুন করা হল তা এখনই বলা যাচ্ছেনা। ময়না তদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষা করছে পুলিশ। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দলকে তদন্তে নামানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞ দল নমুনা সংগ্রহ করেছে। এসিপি সুমন কুমার জয়সোয়াল বলেন, আমরা তদন্ত শুরু করেছি। এলাকার সিসি টিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Comments :0