ANAYAKATHA | TAPAN KUMAR BIRAGYA | VUTURE PATHAR | MUKTADHARA | 2025 FEBRUARY 16

অন্যকথা | তপন কুমার বৈরাগ্য | ভূতুড়ে পাথর | মুক্তধারা | ২০২৫ ফেব্রুয়ারি ১৬

সাহিত্যের পাতা

ANAYAKATHA  TAPAN KUMAR BIRAGYA  VUTURE PATHAR  MUKTADHARA  2025 FEBRUARY 16

অন্যকথা | মুক্তধারা

ভূতুড়ে পাথর
তপন কুমার বৈরাগ্য

ভূতুড়ে পাথর।কথাটা শুনলে যেন মনটা  কেমন বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে যায়।
পাথরের মাঝেও ভূত থাকে। ক্যালিফোর্নিয়ার রেসট্র্যাক প্লায়ার ডেথ ভ্যালিতে
আছে একটা চলমান পাথর।আমাদের দেশের বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু
একদিন বলেছিলেন--প্রত্যেকটা বস্তুই জীবন্ত।উদ্ভিদের মতন পাথরও আঘাত
উত্তেজনায় সাড়া দেয়। মার্কিণ যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে উষ্ণতম এবং শুষ্কতম
জাতীয় উদ্যান রেসট্র্যাক প্লায়া। যেখানে মানুষের পৌঁছানো খুবই কষ্টকর।
কারণ জায়গাটা যেমন উষ্ণ তেমনি শুষ্ক। এখানে বৃষ্টি হয় না বললেই চলে।
এই ক্যালিফোর্নিয়া আছে মৃত্যুর উপত্যাকা। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৮২ফুট নীচে
অবস্থিত। যেখানে বারোমাস উত্তাপ থাকে ৫৬ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড।  তাই সেখানে
মানুষের পৌঁছানো অসাধ্য ছিলো।বর্তমান প্রযুক্তির দৌলতে মানুষ এখন পৌঁছাচ্ছে
এই দামাল উপত্যাকায়। এই যে ভূতুড়ে পাথর বা চলমান পাথর প্রতিদিন বেশ কিছুটা
পথ চলাচল করে। এটা কি করে সম্ভব?অনেকে মনে করেন এখানে খুব জোরে
বাতাস বয় তার জন্য।আবার অনেকে বলেন এখানকার প্রচন্ড উত্তাপের জন্য।
আধুনিক প্রযুক্তির দৌলতে ১৯৪৮ সালে একদল বিজ্ঞানী সেখানে পৌঁছান।
তাঁরাই বাটির মতন দেখতে এই ডেথ ভ্যালিতে এই পাথরের সন্ধান পান।
বালির উপর দিয়ে যখন এই পাথর যায় তখন তার চলার পথে একটা রাস্তা তৈরি
হয় ।যা প্রমাণ করে এই পাথরটা চলতে পারে।পাথরটা অন্য পাথরের
মতন দেখতে। বিজ্ঞানীরা থেমে নেই।এই পাথরের চলাচলের
সঠিক কারণ একদিন না একদিন বের করবেনই। 

Comments :0

Login to leave a comment