ABHISHEK ED SUJAN CHAKRABORTY

অভিষেকের জেরা চোখে ধুলো দেওয়া, বললেন চক্রবর্তী

রাজ্য

ছবি সংগ্রহ থেকে।

তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জির জেরা চোখে ধুলো দেওয়া। ইডি’র জেরা প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করেছেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। 

বৃহস্পতিবার ইডি এক ঘন্টা জেরা করে অভিষেক ব্যানার্জিকে। বাইরে বেরিয়ে অভিষেক বলেছেন যে তাঁর ভয় করার কিছু নেই। ইডি’র প্রশ্নের জবাবে ৬ হাজার পাতার নথি দিয়েছেন তিনি। 

সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে চক্রবর্তী বলেন, ‘‘অভিষেক জানতেন তাঁর ভয়ের কিছু নেই। ইডি এমন কিছুই করবে না। তাই জেরায় হাজির হয়েছেন।’’ আরেক প্রশ্নে তিনি বলেন যে মহুয়া মৈত্র আদানি এবং প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তাই নীরব থেকেছে তৃণমূল।

বাইরে ভয়ের কিছু নেই বললেও অভিষেক বিভিন্ন সময়ে জেরা এড়াতে হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে ঘুরেছেন। গ্রেপ্তার না করার নির্দেশ আদালত দেওয়ার পর জেরার সামনাসামনি হয়েছেন। 

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে অভিষেকে সংস্থা ‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস’-র যোগসাজশ পান কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। তবে এর আগে অভিষেককে জেরার পরও আদালতে নতি পেশ করতে পারেনি ইডি। তার জন্য কড়া সমালোচনার মুখেও পড়েছে। 

দলের সাংসদ মহুয়া মৈত্র প্রসঙ্গে অভিষেকের দীর্ঘ নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন করা হয় চক্রবর্তীকে। অভিষেক তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। দলেরই সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি। এদিনই লোকসভার এথিক্স কমিটি মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে। আদানির বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলায় ক্ষোভ, লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে পাঠানো অভিযোগপত্রে বুঝিয়েছেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। 

অন্য সব দল সরব হলেও নীরব তৃণমূল। অভিষেকও এতদিন কোনও মন্তব্য করেননি। এদিন তিনি বলেন, মহুয়া মৈত্র নিজেই নিজের পক্ষে সওয়াল করতে পারবেন।

চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মহুয়া মৈত্র আদানি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাই তৃণমূল মন্তব্য করতে নারাজ।’’ তিনি বলেন, ‘‘টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন তোলার অভিযোগ তোলা হয়েছে। তিনি যে টাকা নিয়েছেন তা প্রমাণ হয়নি। সেই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগেই মৈত্রকে সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হলো। নীতি বিষয়ক কমিটির এই সিদ্ধান্ত অনৈতিক।’’ 

Comments :0

Login to leave a comment