Police Arrest

হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স , পুলিশকে মারধর গ্রেপ্তার ওসি

রাজ্য জেলা

মুর্শিদাবাদের লালগোলায় এবার সরকারি হাসপাতালে পুলিশ অফিসারের তান্ডব। চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মীদের উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিশ অফিসারের হাতেই আক্রান্ত হলেন লালগোলা থানার ওসি সহ পুলিশ কর্মীরাও ।
অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে লালগোলার কৃষ্ণপুর হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের গাজিগালাজ ও মারধর করেন বীরভূমের কর্তব্যরত লালগোলার বাসিন্দা ডিস্ট্রিক্ট ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর ওসি আশরাফুল সেখ। এই ঘটনায় পুলিশ আধিকারিকের পাশাপাশি গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁর স্ত্রী ও আরও চারজনকে। এই ঘটনায় দুটি অভিযোগ হয়েছে লালগোলা থানায়। একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে চিকিৎসকের পক্ষ থেকে, অন্য অভিযোগ আক্রান্ত পুলিশ কর্মীরা দায়ের করেছেন। জানা গিয়েছে মঙ্গলবার রাতে বীরভূমের পুলিশ আধিকারিক আশরাফুল সেখ তাঁর মাকে লালগোলার কৃষ্ণপুর হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিয়ে আসেন। শুরু থেকে দুর্ব্যবহার করছিলেন তিনি। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে মেজাজও হারান। সেখানেই কর্তব্যরত অবস্থায় নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের গাজিগালাজ ও মারধরের অভিযোগ ওঠে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের উদ্ধার করতে আসে লালগোলা থানার পুলিশ। লালগোলা থানার ওসির কলার ধরে চড়াও হতে দেখা যায় বীরভূমে কর্মরত পুলিশ আধিকারিকের স্ত্রীকে। এক লক্ষ লোক নিয়ে থানা ঘেরাওয়ের হুমকিও দেন ওই পুলিশ আধিকারিক। তিনি দাবি করতে থাকেন, তিনি পুলিশের অফিসার। তাঁকে কিছু বলা যাবে না। এই ঘটনায় আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী। ঘটনায় বীরভূমের পুলিশ আধিকারিক আশরাফুল সেখ সহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার ধৃতদের লালবাগ কোর্টে পাঠায় লালগোলা থানার পুলিশ। এই ঘটনা স্বীকার করে নিয়েছেন লালগোলার এসডিপিও উত্তম গড়াই। তিনি জানান, আসার পর থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক, নার্সদের সঙ্গে গায়ে দুর্ব্যবহার করছিলেন। গায়ে হাতও তোলেন। লালগোলার ওসি অতনু দাস নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ার মিলিয়ে ৬ জন আহত হয়েছেন এই ঘটনায়। আহত হয়েছেন ওসি অতনু দাস, এসআই কল্যাণ সাধন সিংহ এবং চার জন সিভিক ভলান্টিয়ার। চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস জানান, “ রাতে এক রোগীকে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসাও শুরু হয়। কিন্তু রোগীর এক আত্মীয় বলেন, তিনি বীরভূমের এক থানার ওসি। আমার উপর চড়াও হন তিনি। হাসপাতালের বাকি কর্মীদের হেনস্থা করা হয়।’’ ঘটনার পর আতঙ্কে চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা।

Comments :0

Login to leave a comment