NAUSHAD SIDDIQI BHANGOR

ভাঙড়ে হিংসা আরাবুলের নেতৃত্বে, ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা নওসাদের মুখে

রাজ্য

NAUSHAD SIDDIQI BHANGOR এন্টালিতে বক্তব্য রাখছেন নওসাদ সিদ্দিকি।

জয়ী আইএসএফ প্রার্থীদের হারাতে ভাঙড়ে গণনা কেন্দ্রেই ‘অপারেশন’ করেছে তৃণমূল। নিভিয়ে দেওয়া হয় আলো। তৃণমূলের আরাবুল ইসলাম ঢুকে বিজয়ী আইএসএফ প্রার্থীকে বের করে দিয়েছে নিজে। এই বাহিনীই পুলিশের ওপর গুলি চালিয়েছে। গুলি করে আইএসএফ, বামফ্রন্ট কর্মীদের।

বৃহস্পতিবার এন্টালিতে বামফ্রন্টের ডাকে মিছিলের শেষে এই অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন আইএসএফ নেতা এবং ভাঙড়ের বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি। তিনি বলেছেন যে একেবারে মনোনয়ন পর্ব থেকে গণনা কেন্দ্র পর্যন্ত সন্ত্রাস চলেছে। শান্তির জন্য দেখা করতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। কিন্তু দেখা করেননি তিনি। 

ভাঙড়ে কিভাবে আরাবুল ও তার গুন্ডা বাহিনী আইএসএফ ও সিপিআই(এম)র একের পর এক জেতা আসন সন্ত্রাস দেখিয়ে ভয় দেখিয়ে লুঠ করেছে তাও বলেন। জেলা পরিষদে আইএসএফর জেতা আসন ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। আরাবুলের অঙ্গুলি হেলনে কাজ করেছেন ভোট কর্মীরা। জেতা দুই প্রার্থীকে সার্টিফিকেট না দিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বসিয়ে রাখা হয়েছে। সাড়ে আটটায় ভোট গোনা হয়ে গিয়েছিল। রাত বারোটা পর্যন্ত দেওয়া হয়নি সার্টিফিকেট। তারপর শুরু হয় হামলা। নওসাদ জানিয়েছেন জেলা পরিষদে জয়ী মহিলা প্রার্থী জাহানারা বিবি এবং তাঁর স্বামী এখনও নিখোঁজ। 

তবে এই প্রতিবাদ মিছিলে আসা মানুষের প্রতি ভরসা জানিয়ে আইএসএফ বিধায়ক বলেছেন, আগামী দিনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই আরও জোরদার হবে। যারা মানুষের ট্যাক্সের টাকা লুঠ করছে তারা এবার পঞ্চায়েতের টাকাও ফের লুঠের পরিকল্পনা নিয়েছে। কিন্তু মানুষ মার খেয়েও তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন ভোটও দিয়েছেন। সিদ্দিকি বলেছেন, কিন্তু ভোট লুঠ করে যারা জিতেছে তাদের বিজয় মিছিল করার সাহস নেই। কারণ তারা মিথ্যের পথে হেটেছে। 

Comments :0

Login to leave a comment