Nagpur Violence

নাগপুরের ঘটনা পরিকল্পনা মাফিক, দাবি ফড়নবিশের

জাতীয়

নাগপুরের সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা নিয়ে মহারাষ্ট্র বিধানসভায় মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। তিনি বলেন, ‘‘পরিকল্পনা মাফিক চক্রান্ত করে নাগপুরের নির্দিষ্ট কিছু বাড়ি স্থাপত্যে হামলা চালানো হয়েছে।’’ তার দাবি সদস্য মুক্তি পাওয়া হিন্দি ছবি ‘ছাবা’ থেকে এই উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য ওই সিনেমায় মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব এবং মারাঠা সম্রাট সাম্ভাজির যেই লড়াই তা দেখানো হয়েছে। সেই সিনেমা মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন উগ্রহিন্দুত্ববাদী সংগঠন সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। দাবি তুলছে নাগপুর থেকে আওরঙ্গজেবের সমাধি সড়িয়ে দেওয়ার, তা ভেঙে দেওয়ার। এমনকি দাবি তোলা হচ্ছে পাঠ্য বই থেকে মুঘল ইতিহাস বাদ দেওয়ার কারণ তা ভারতীয় পরাম্পরা নয়। পরিকল্পনা মাফিক ছড়ানো হচ্ছে হিংসা। 
দেবেন্দ্র জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমানে পাথর পাওয়া গিয়েছে। তিনি আরও বলেন, একজন উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মী আহত হয়েছে কুঠারের আঘাতে। মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়েছেন ওই হিংসার সাথে যারা যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
উপ-মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেও জানিয়েছেন নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়কে আক্রমণ করার লক্ষ নিয়ে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
তবে বিধানসভার বাইরে শিন্ডের বক্তব্য পাওয়া গিয়েছে সুক্ষ্ম সাম্প্রদায়িক উষ্কানি। বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘দেশপ্রেমিক মুসলিমরা কখনই আওরঙ্গজেবকে সমর্থন করবে না।’’ যারা করবে তারা বিশ্বাসঘাতক। তার কথায় নাগপুরে আওরঙ্গজেবের সমাধি মহারাষ্ট্রের জন্য কলঙ্ক। 
নাগপুরের সাংসদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গঢ়কড়ি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে আবেদন জানিয়েছেন শান্তি বজায় রাখার জন্য এবং কোন প্ররোচনায় পা না দেওয়ার জন্য।

উল্লেখ্য মহারাষ্ট্রের বিজেপি জোটের সরকার তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পালন করতে ব্যর্থ। ভোটের সময় এনডিএ নেতাদের মুখে শোনা গিয়েছিল রাজ্যের সব মহিলাদের মাসিক ভাতা দেওয়া হবে। এখন সেই প্রকল্প থেকে সড়ে এসে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে মাপকাঠি বিচার করে এই ভাতা দেওয়া হবে। মানুষের মধ্যে সরকার বিরোধী ক্ষেভ যখন তীব্র হচ্ছে বিভিন্ন কারণে তখন দৃষ্টি ঘোরাতে ছড়ানো হচ্ছে সাম্প্রদায়িক বিষ। 
সোমবার শিবাজীর জন্মদিন উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠান থেকে লাগাতার সাম্প্রদায়িক উষ্কানি দিতে শোনা গিয়েছে ভিএইচপি, বজরঙ্গ দলকে। নাগপুরের সংখ্যালঘু এলাকায় আওরঙ্গজেবের কুশপুতুল পোড়ায় তারা। তারপরই সেখানে হিংসা ছড়ায়।
রাজ্যের মন্ত্রী নীতিশ রানে বলেছেন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন গুলো তাদের কাজ করুক সরকার তাদের কাজ করবে। অর্থাৎ মদত দিচ্ছেন হিংসার। আওরঙ্গজেবের করব সড়ানোর যেই দাবি তাকে ঘুরিয়ে মান্যতা দিচ্ছে সরকারের মন্ত্রী। 
গতকাল একটি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ফড়নবিশ বলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক যে সরকারকে আওরঙ্গজেবের কবর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিতে হচ্ছে। এটি সংরক্ষিত স্থান হওয়ার কারণে রা রক্ষার দায়িত্ব সরকার নিতে বাধ্য। শ্রদ্ধা নিবেদনের থেকেও ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে েটা সংরক্ষিত জায়গা হিসেবে চিহ্নিত।

Comments :0

Login to leave a comment