ARGENTINA SRIKE DECREE

রাষ্ট্রপতির ডিক্রি, ধর্মঘট-বিক্ষোভে তপ্ত আর্জেন্টিনা

আন্তর্জাতিক

আর্জেন্টিনায় এভাবেই চলছে প্রতিবাদ।

জারি করেছেন ডিক্রি, সব ক্ষমতা নিজের হাতে পেতে। পেশে করেছেন গুচ্ছ বিলের প্যাকেজ। অবাধে বিক্রি হবে সরকারি কারখানা। থাকবে না ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার। এবার তা নিয়েই শ্রমিক আন্দোলনের কড়া প্রতিরোধের মুখে পড়লেন দক্ষিণপন্থী জেভিয়ার মিলেই।
আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রায় আচমকা জিতে যান নবাগত মিলেই। দক্ষিণপন্থী অর্থনীতিবিদ হিসেবে আদ্যোপান্ত আইএমএফ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপারিশে কাজের পক্ষে। মিলেইয়ের জয় এসেছিল আর্জেন্টিনার বেহাল অর্থনীতির কারণে। ১৬০ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল মূল্যবৃদ্ধির হার। 
শ্রমিক সংগঠনগুলির মঞ্চ জেনারেল কনফেডারেশন অব লেবার ধর্মঘট ঘোষণা করেছে ২৪ জানুয়ারি। আন্দোলন জারি রাখার ঘোষণাও করেছে। রাজধানী বুয়েনস এয়ার্সের পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় চলছে বিক্ষোভ। কনফেডারেশনের চেয়ারম্যান হেক্টর ডেয়ার শুক্রবার বলেছেন, ‘‘দেশের সব কিছু বিক্রি করে দেওয়ার মতলব করেছেন মিলেই। প্রতিবাদ চলবে।’’
আর্জেন্টিনার জাতীয় আইনসভার দুই কক্ষেই বিল এবং ডিক্রি নিয়ে আলোচনা হবে। সংবিধান অনুযায়ী দুই কক্ষে পাশ করাতে হবে রাষ্ট্রপতির দুই নির্দেশিকা। আইনসভার মতে প্রভাব ফেলতে সক্রিয় বিদেশি একাধিক শক্তি, এই আলোচনা রয়েছে আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যমে। 
গত মাসে নির্বাচনে জয়ী হন মিলেই। ১০ ডিসেম্বর থেকে কার্যভার গ্রহণ করেছেন। মূল্যবৃদ্ধি কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েই আসীন শীর্ষপদে। কার্যক্ষেত্রে তা হচ্ছে না। পদে আসীন হওয়ার পর থেকে প্রতিশ্রুতি পালনের মেয়াদ পিছিয়ে দিচ্ছেন নিজেই। নেমে পড়েছেন আন্তর্জাতিক বাজারে আর্জেন্টিনার মুদ্রার দাম কমাতেও। 
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিক্রি পাশ হলে অর্থনীতির সুরক্ষার জন্য চালু ৩৫০টি বিধিনিষেধ বিলোপ হয়ে যাবে। বাজারে হস্তক্ষেপের যে সুযোগ সরকারের হাতে রয়েছে তার প্রায় সব বাতিলও হয়ে যাবে। 
ডেয়ার বলেছেন, ‘‘শ্রমিকদের অধিকারে আঘাত আনছে ডিক্রি। ট্রেড অধিকার গড়া, সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মতো সমাজজীবনের বহু বিষয়ে বিপজ্জনক প্রভাব পড়বে। এমনকি প্রতিবাদ জানানোর অধিকারও কেড়ে নেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে।’’
গুচ্ছ বিলের প্যাকেজের মধ্যে রাখা হয়েছে প্রায় ৬০০ বিষয়। আর্থিক নিয়ন্ত্রণ থেকে নির্বাচনী বিধি সংশোধন, পেনশন ব্যবস্থা- সবই রয়েছে তার মধ্যে। 
প্রতিবাদের মুখে পড়ে পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমে দেওয়া ‘উদারনৈতিক’ তকমা সরিয়ে ফেলছেন মিলেই। প্রতিবাদীদের কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। জানিয়েছেন প্রতিবাদে নামলে সরকারি সুযোগ সুবিধা কেড়ে নেওয়া হবে। 
গত বুধবারও হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। আদালতের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন মিলেইর সংস্কারের বিরুদ্ধে।

Comments :0

Login to leave a comment